উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে অজ্ঞাত পরিচয়ের মুণ্ডহীন মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য়। হেমতাবাদের টিটিহি কালীতলা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় দেহ। সেটি কার? কী পরিচয় মৃতের? তা খতিয়ে দেখছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।


কিছুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূল কর্মীর  রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের (Murder Case) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার শ্রীপুর এলাকার একটি ধান খেতে৷ মৃত ওই ব্যাক্তির নাম আব্দুল কাশেম। বয়েস হয়েছিল ৪০ বছর। বাড়ি ইটাহার থানার গুটলু গ্রামে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ (Itahar Police Station)।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার গুটলু এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাশেম পেশায় ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করতেন তিনি। শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ইটাহার থানার শ্রীপুর এলাকার একটি ধানের জমিতে আব্দুল কাশেমের রক্তাক্ত মৃতদেহটি দেখতে পায়। রক্তাক্ত মৃতদেহটি দেখে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ইটাহার থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। এই খুনের পিছনে কী কোনও রাজনৈতিক কারণ লুকিয়ে রয়েছে, নাকি অন্য কোনও ব্যক্তিগত ইস্যু জড়িয়ে রয়েছে। কে বা কারা কী কারনে আব্দুল কাশেমকে খুন করল, তা তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। নামানো হয়েছে পুলিশ কুকুরও। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটর বাইক। 


উল্লেখ্য, আজ একই দিনে পরপর তিন তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কোচবিহার ও নদিয়া! একই দিনে ২ জেলায় ভয়ঙ্কর ২ হত্য়াকাণ্ড। দুটি ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতা খুন। কোচবিহারে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়, তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে কুপিয়ে খুন। অন্য়দিকে, নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতাকে শ্য়ুটআউট। এই নিয়ে গত সাড়ে তিন মাসে, একাধিক তৃণমূল নেতার ওপর হামলা হয়। কোথাও ঝরল রক্ত! কোথায় অকালে ঝরে গেল প্রাণ।


প্রায় ১০ দিন আগে, গত ৩০ শে মার্চ, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়, তৃণমূলের গুলিতেই খুন হন ২ তৃণমূল কর্মী! স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে অশান্তির জেরেই খুনের ঘটনা ঘটে। 
তার আগের দিন, অর্থাৎ, ২৯শে মার্চ, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল কর্মী। লটারির দোকান সরানো নিয়ে অশান্তির জেরেই গুলি চলে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। 
এর আগে, ১৯ শে ফেব্রুয়ারি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষনুপুরে, ভরসন্ধেয়, জনবহুল এলাকায় চায়ের দোকানে বসে থাকা তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে।খুনের পিছনে পিছনে সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করে তৃণমূল। 
গত ২৪শে জানয়ারি, মুর্শিদাবাদের রানিনগরে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করে খুন করা হয়। ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে, চৌঠা জানুয়ারি, মালদার মোথাবাড়িতে, ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।