সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : রাতের শহরে মারাত্মক বাস দুর্ঘটনা (Bus Accident)। চিংড়িঘাটা মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে বেসরকারি ম্য়ানেজমেন্ট কলেজের বাস। গুরুতর জখম হন ওই বাসে থাকা হোটেল ম্য়ানেজমেন্টের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাইপাসে, চিংড়িঘাটা মোড়ে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টো দিকের লেনে ঢুকে পড়ে বাসটি। এরপর সেটি ধাক্কা মারে একের পর এক দোকানে। গুড়িয়ে দেয় একটি গুদাম ঘর। ভেঙে যায় একাধিক দোকান। দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটিও। বাসের মধ্য়ে থাকা, আহত ৩ পড়ুয়াকে পাঠানো হয় SSKM-এর ট্রমা কেয়ারে। বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে।
এদিকে ঘটনার পরই বেপাত্তা বাসের চালক। বিধাননগর দক্ষিণ থানার তরফে জানানো হয়েছে, অত্য়ন্ত দ্রুত গতিতে আসছিল বাসটি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসের চালকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই মেয়ো রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের মিনিবাস। পিছনের জানালা ভেঙে, বাসের সামনের কাচ ভেঙে উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। আহত যাত্রীদের পাঠানো হয় হাসপাতালে। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। বাইক বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি, দাবি যাত্রীদের। বাসের ধাক্কায় উল্টে যায় বাইকটিও। যে ঘটনায় ২ মৃত্যু হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল আর একজনের। মোট ১৭ জন যে বাস দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ছিল, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মিনি বাসটি মেটিয়াবুরুজের দিক থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। একটা বাইককে ধাক্কা মেরে বাসটি উল্টে যায়। দরজার দিকে বাসটি উল্টে যায়। ফলে বাসের ভিতরেই আটকে পড়েন যাত্রীরা। পরে, বাসের সামনে এবং পিছনের কাচ ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। ক্রেন এনে বাসটিকে সোজা করে পুলিশ। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের দেখতে হাসপাতালে আসেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দুর্ঘটনার জেরে মেয়ো রোডে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়।
যদিও চিংড়িঘাটার মোড়ে বাস দুর্ঘটনাটি মাঝরাতে হওয়ার জেরে যান চলাচলে সেভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- তাপমাত্রা আরও চড়বে, নেই বৃষ্টি দেখা, নতুন বছরের শুরুর দিনে হতে পারে তাপপ্রবাহ