শৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ২২ জানুয়ারি বিধাননগর , চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোল এই চার পুরসভার (Municipal Election) ভোট হওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে হাজারো তরজার পরই চার পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।   ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোট গণনা ১৫ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টায় আগে প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কোর্ট।  করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। এবার তিনিই হাইকোর্ট অবমাননার নোটিশ পাঠালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।


জনস্বার্থ মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্য নোটিশে জানতে চেয়েছেন, কোন যুক্তিতে ৩ সপ্তাহ ভোট পিছনো। কমিশনের যুক্তির ভিত্তি কী। হাইকোর্ট পরামর্শ ছিল নূন্যতম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছনোর। হাইকোর্টেের নির্দেশের পরেও কেন তাকে মান্যতা দেয়নি কমিশন ? এই প্রশ্নগুলি তুলে হাইকোর্ট অবমাননার নোটিশ  পাঠানো হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। 

৭ দিনের মধ্যে কমিশন নোটিশের জবাব না দিলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার হুঁশিয়ারি। মঙ্গলবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে কমিশন কে।

গত শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে কমিশনকে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে। এই সময়ে ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? সেই ভোট কি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের’। তৃণমূলের কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, "আজ হাইকোর্টে সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হলে কোনও অসুবিধা নেই। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনও জানায় যে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। করোনা মুক্ত পরিবেশে ভোট হোক। স্বাগত জানাচ্ছি।" 


রাজ্যে জারি বিধিনিষেধ, কিন্তু চিন্তা কমল না কোভিড (Covid-19) দাপট নিয়ে। রাজ্যে দৈনিক করোনা (Coronanavirus) সংক্রমণ ১০ হাজারের উপরেই। মঙ্গলবার  রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Deaprtment) বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৩০ জন। সংক্রমণের সঙ্গেই গতকালের তুলনায় বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা। রাজ্যে করোনায় একদিনে ৩৪ জনের মৃত্যু।