অরিত্রিক ভট্টাচার্য, সুব্রত গলুই ও বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: হায়দরাবাদ (Hyderabad) থেকে ফেরার পথে ট্রেনেই মৃত্যু রোগীর। প্রবল গরমে নন এসি কামরায় মৃতদেহ নিয়ে আটকে থাকতে হল সাড়ে ৭ ঘণ্টা। বিজেপি নেত্রীর পয়গম্বর মন্তব্য-বিতর্কে শুক্রবার চেঙ্গাইলে রেল অবরোধে দুঃসহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির এক পরিবার।


ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ছবির কোলাজ, বিজেপি নেত্রীর পয়গম্বর মন্তব্য-বিতর্কে অগ্নিগর্ভ হাওড়া। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অশান্তির শেষ হয়নি শনিবারেও। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার এদিকে, শুক্রবারও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধে। 


প্রবল গরমে সাড়ে ৭ ঘণ্টা নন এসি কামরায় মৃতদেহ নিয়ে আটকে থাকতে হল এক পরিবারকে। রেল সূত্রে খবর, হায়দরাবাদ থেকে চিকিৎসা করিয়ে পরিবারের সঙ্গে ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা চিত্ত সিংহ। ডাউন ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস খড়গপুরে ঢোকার কিছু আগে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। 


আরও পড়ুন, রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত


পরিবারের দাবি, রক্ত বমি শুরু হয় চিত্তর। পরিবারের তরফে টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টি জানানো হয়। শুক্রবার ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা, খড়গপুর স্টেশনে রেলের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এরপর মৃতদেহ নিয়ে হাওড়ার শালিমার পর্যন্ত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। 


মৃতের আত্মীয় বলেন, "ট্রেনেই অসুস্থ, মারা যায়"। মৃতের পরিবারের দাবি, চেঙ্গাইল স্টেশনে অবরোধের জেরে দুপুর ২টো নাগাদ হাওড়ার দেউলটি স্টেশনে আটকে পড়ে ট্রেনটি। শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে রাত সাড়ে ৯টা আর এগোয়নি ট্রেন। তীব্র গরমে নন এসি কামরায় কাটে সাড়ে ৭ ঘণ্টা। শেষমেশ, বাগনান জিআরপির তরফে উলুবেড়িয়া মর্গে পাঠানো হয় মৃতদেহ।  


মৃতের আত্মীয় বলেন, "ট্রেনেই রক্তবমি শুরু হয়। খড়গপুরের আগে রক্তবমি। খড়গপুর স্টেশনে ডাক্তার ছিল। ১২টা নাগাদ চিকিৎসক জানান, মারা গেছে। বলা হয় খড়গপুরেও নেমে যেতে পার অথবা শালিমারেও যেতে পারো। দেউলটিতে ২টো থেকে রাত সাড়ে ৯ পর্যন্ত আটকে ছিলাম। উলুবেড়িয়া মর্গে পাঠাল।


শুক্রবার খড়গপুর-হাওড়া শাখার একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ, অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। শনিবারও সেই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের। শনিবার হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না সাধারণ মানুষের।