কলকাতা: এলেন না নূপুর শর্মা (nupur sharma)। অতীতে নারকেলডাঙা থানার তলব (summon) এড়িয়েছিলেন। এবার ডাকা সত্ত্বেও হাজির হলেন না আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় (Amherst Street)। 
সূত্রের খবর, ই-মেল মারফৎ গরহাজিরার কারণ জানিয়েছেন সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী। প্রাণসংশয় হতে পারে তাঁর, এই কারণেই আসেননি নূপুর। হাজিরার জন্য পুলিশের কাছে আরও ৪ সপ্তাহ সময়ও চেয়ে নিয়েছেন। কার্যত এক ঘটনা ঘটেছিল নারকেলডাঙা থানার তলবের সময়ও।


বার বার গরহাজিরা...
তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলে ডেকে পাঠায় নারকেলডাঙা থানা। কিন্তু সেবারও একই কারণ দেখিয়ে বাড়তি সময় চেয়ে নেন তিনি। বার বার কেন হাজিরা এড়াচ্ছেন বিজেপি শিবিরের এই সাসপেন্ডেড নেত্রী? এর মধ্যেই প্র‌‌শ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত ৪ জুন পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন নূপুর। বিতর্কের আঁচে দেশের নানা প্রান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  বিদেশ থেকেও কড়া সমালোচনা ধেয়ে আসে। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। বিবৃতি দিয়ে জানায়, এই ধরনের কোনও মন্তব্য দল সমর্থন করে না। কিন্তু তার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দাউদাউ করে। রেহাই পায়নি বাংলাও। উত্তাল হয় রাজ্যের ৮ জেলা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা থেকে মুর্শিদাবাদ, মালদহ-সহ নানা প্রান্তে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে। অশান্তি থামাতে বার বার আবেদন করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপায় রয়েছে।


দিকে দিকে এফআইআর...
কিন্তু সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী যে ভাবে বার বার এফআইআর এড়াচ্ছেন, তার পর কী আইনানুগ পথে প্রতিবাদের সত্যি কি পরিণতি হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। শুধু নারকেলডাঙা বা আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা নয়। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় । অভিযোগ করেন তৃণমূলের রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক আবু সোহেল।  জানান, বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। চিঠি দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও। 
ঘুরেফিরে অবশ্য প্রশ্ন একটাই। কবে তলবে সাড়া দেবেন নূপূর শর্মা?


আরও পড়ুন:অবিলম্বে শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি, সোমবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান তৃণমূলের, জানালেন কুণাল