কলকাতা: পয়গম্বর বিতর্কে হাওড়ার পাঁচলায় ফের উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আগুন। ইটবৃষ্টি-লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। সলপে সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত হাওড়ায় বাড়ল ১৪৪ ধারার মেয়াদ। তাণ্ডবের রেশ আজও ডোমজুড় থানায়। ভেঙে পড়ে রয়েছে থানার বোর্ড। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক গাড়ি। থানা চত্বরের ভিতরে ইটের টুকরো। এরই মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য গ্রেফতাঁর নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। 


তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন যে সুকান্ত-শুভেন্দুরা উস্কানি বন্ধ রাখুন, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। ফিরহাদের কথায়, "কোনও মানুষ হাওড়ার এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। সুকান্ত-শুভেন্দুর উস্কানি বন্ধ রাখা উচিত। হাওড়ায় যারা এই কাজ করেছে তাঁরা বিজেপির এজেন্ট হিসেবে করেছে। কোনও ধর্মীয় কেউ নয়। ধর্মের আবেগে অন্য মানুষকে কষ্ট দেওয়া কোনও ধর্মে বলা হয় না। পুলিশ অ্যাকশন নিয়েছে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।" 


আরও পড়ুন, হাওড়ায় যেতে বাধা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে 'গ্রেফতার' 


এদিকে আজ, হাওড়া যাওয়ার আগে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার। আগে এসএসকেএমের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতির গাড়ি। গাড়ি আটকানোয় রাস্তায় হাঁটতে থাকেন সুকান্ত। পরে গাড়িতে করে হাওড়া যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।


অন্যদিকে, কাল হাওড়া যাচ্ছেন, ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্তদের হাওড়ায় যেতে না দেওয়ায় প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা। ‘যেভাবে সুকান্ত, প্রিয়ঙ্কাদের বাধা দেওয়া হয়েছে তা নিন্দনীয়। তাঁরা যে সত্যিটা লুকোচ্ছে, এটা তার প্রমাণ। কাল হাওড়া গ্রামীণের ভস্মীভূত পার্টি অফিসে যাব’, ট্যুইট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। 


ধর্মতলায় ডিসি সেন্ট্রালের অফিসের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির। সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। অগ্নিমিত্রা পাল সহ দুই বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে বচসা।