সুনীত হালদার, হাওড়া: দিল্লির বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে হাওড়ার ( Howrah Violence  )  বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদের নামে চলছে তাণ্ডব। এরই মধ্যে বিজেপি কার্য্যালয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যেতে দেওয়া হল না সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। পথেই আটকে দেওয়া হল প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে (Priyanka Tibrewal )। 


নিউটাউনের বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে গার্ড রেল। মোতায়েন পুলিশ। গতকাল বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তিনি বলেন, হাওড়ায় আক্রান্ত পার্টিঅফিসে যাওয়া পদাধিকারী হিসেবে তাঁর কর্তব্য ছিল। কিন্তু তাঁকে কোনও কাগজ ছাড়াই আটকানো হয় বলে অভিযোগ। 

আরও পড়ুন:


 উত্তপ্ত হাওড়ায় বাতিলআরও ৪ দূরপাল্লার ট্রেন, সময় বদল হল কোন কোন ট্রেনের


অন্যদিকে, উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় বিজেপি পার্টি অফিস পরিদর্শন করেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। গতকাল বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ পৌনে ১১টা নাগাদ পার্টি অফিসে আসেন দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ,  হাওড়া থেকে মালদা-মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় যে অশান্তি হচ্ছে তা সরকার থামানোর চেষ্টা করছে না। এ রাজ্যে বিরাট এলাকার মানুষ অসুরক্ষিত বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হাওড়ায় হিংসা চলেছে, কিন্তু পুলিশ আটকায়নি। 


এদিন পাঁচলা যাওয়ার পথে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের গাড়ি আটকায় পুলিশ। পরে বিজেপি নেত্রীর গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলে ফের পাঁচলায় প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে আটকায় পুলিশ। স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। 


অন্যদিকে, হাওড়ায় বিক্ষোভ-অবরোধের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে অমিত শা-কে চিঠি লিখলেন সৌমিত্র খাঁ। বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, হাওড়ার একাধিক এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।