কলকাতা: স্বাস্থ্যভবনে নার্সিং চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। অবিলম্বে চাকরির দাবিতে নার্সিং চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। যোগ্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরও চাকরি দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি। স্বাস্থ্যভবন চত্বরের ভিতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। 


এ দিন দিনভর একের পর এক বিক্ষোভে সরগরম রইল শহর। এদিনই নিয়োগের দাবিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ আটকাতেই বাধে তুলকালাম। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নিয়োগে দুর্নীতির জেরেই ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ।


প্রায় ১৪ বছর, নিয়োগের জন্য অপেক্ষা আর কতদিনের? এই প্রশ্ন তুলেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা! ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে গ্রুপ D চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল শুরুর আগেই এই ঘটনা ঘিরে হাজরায় হুলুস্থূল! পুলিশকে এড়াতে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ। বেধে গেল ধস্তাধস্তি! সরকারি চাকরি বিক্রির অভিযোগে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়> নিয়োগের দাবিতে গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা যেদিন পথে নামলেন, সেদিনই ফের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা...


বুধবার দুপুরে, পুলিশ তখন গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময় হাজরা মোড়ে জড়ো হন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। উদ্দেশ্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া। হাজরা মোড় হয়ে কালীঘাটের দিকে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তাঁদের আটকাতে যেতেই দৌড়তে শুরু করেন কয়েকজন। কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের সামনে আন্দোলনকারীদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।


২০০৯ সালে দুই ২৪ পরগনা, মালদা ও হাওড়া, এই ৪ জেলায়, শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেয় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। কিন্তু ২০১১-তে নতুন সরকার আসার পর বাতিল হয়ে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে, মেধাতালিকা অনুযায়ী ৩ জেলার চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি হয়। কিন্তু বাদ পড়েন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলার পর, ২০২২-এর ১৫ নভেম্বর, ২০০৯-এর প্রাথমিকের দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের ১ হাজার ৫০৬ জনের নামের প্যানেল প্রকাশ করে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০০৯-এর প্রাথমিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শূন্যপদ ছিল ১ হাজার ৮৩৪টি। ১ হাজার ৫০৬ জনের নামের প্যানেল প্রকাশিত হওয়ায়, বাকি রয়েছে এখনও ৩২৮টি শূন্যপদ। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি এই চাকরিপ্রার্থীদের। তাই নিয়োগের দাবিতে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেবার যতীন দাস পার্কের কাছেই তাঁদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। এই আন্দোলনকারীরা নবান্ন অভিযানেরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, সেবারও তাঁদের চেষ্টা ব্যর্থ হয় পুলিশের বাধায়।