বাসন্তী : বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় (Balasore Train Accident) মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paragana) বাসন্তীর ছড়ানেখালি গ্রামের তিন ভাইয়ের। ধান রোয়ার কাজে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) যাচ্ছিলেন দিবাকর, নিশিকান্ত ও হারান গায়েন। ৩ ভাইয়েরই মৃত্যু হয়েছে। 


স্থানীয় বাসিন্দা হেমন্ত নস্কর জানান, এরা চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা করে। টিভিতে দেখলাম ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে। ওখান থেকে একজন তার বোনকে ফোন করেছিল। বলল, আমার পা কেটে গেছে। আর কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। রবির আর হারান হল-কাকা ও ভাইপো। এখান থেকে আট জন গিয়েছিল। তার মধ্যে ছয় জন মারা গেছে।


বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্য়া। এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত অন্তত ৬৫০। ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা জারি রয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ৩টি ট্রেন, বাড়ছে রহস্য। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরা থেকে বের করা হচ্ছে দেহ। মৃত ও আহতর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ। গ্যাসকাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে চলছে উদ্ধারকাজ। সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।


শালিমার থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু-হাওড়া ও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ। লাইনচ্যুত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি কামরা হয়ে যায়, বেলাইন হয়ে যায় বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের ৪টি কামরা। দুর্ঘটনায় আহতরা ভর্তি ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে। দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আহতর সংখ্যা। কোনও কোনও ঘরের মানুষ এখনও জানেন না নিকটজন ঘরে ফিরবেন কি না। কেউ কেউ অবশ্য পাচ্ছেন স্বস্তির সংবাদ। বর্ধমানের এই পরিবার একজনকে হারাল ট্রেন দুর্ঘটনায়, একজনকে পেল ফিরে। বাবা নিজে দিলেন ছেলের মৃত্যু সংবাদ। 


ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা বেঁচে গিয়েছেন বাবা। বাঁচাতে পারেননি ১৮ বছরের ছেলেকে। নিজেই ফোন করে জানিয়েছেন ছেলে ছোট্টু সর্দারের মৃত্যু সংবাদ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার করুই গ্রাম থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে ১০ জন রওনা দিয়েছিলেন কেরলের উদ্দেশে। এই প্রথমবার ছেলেকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন বাবা। ছেলে তো গিয়েছেই, সঙ্গীদেরও কোনও খোঁজ মেলেনি।


আরও পড়ুন ; ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা বেঁচে গিয়েছেন, বাঁচাতে পারেননি ১৮ বছরের ছেলেকে!