কলকাতা: 'শনাক্ত হয়েছে বাংলার ৯০ জনের দেহ। নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য। নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি। আহত ও কম আহতদেরও আর্থিক ক্ষতিপূরণ। কাল ফের কটক, ভুবনেশ্বরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল, তাই কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে না। দুর্ঘটনায় শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি। জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার ভার দিয়েছিলাম সিবিআইকে, ১২ বছরেও কিছু হয়নি। সত্য গোপন করার সময় এটা নয়, সত্য প্রকাশ করুন।'                                                                             


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা বলেন, "৯০ জনের দেহ শনাক্ত কারা গিয়েছে। বাকি দেহ শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আমরা ঠিক করেছি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেব। আর হোমগার্ডের চাকরি দেব। যাঁরা আহত তাঁদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তুলনায় বেশি আহতদের ১ লক্ষ টাকা দেব। তুলনায় কম আহতদের ২৫ হাজার দেব। যাঁরা ট্রমায় ভুগছেন তাঁদের প্রথমে এককালীন ১০ হাজার টাকা দেব। তারপর চার মাস পরিবার প্রতি ২ হাজার টাকা পাবে। পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল সহ দেওয়া হবে। অনেকে হাত- পা বাদ গিয়েছে এই দুর্ঘটনায়। সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকছে। তাঁদের পরিবারের কাউকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।''


ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত লাইনে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। রাত ১০টা ৪০-এ ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। আপ লাইনে প্রথম ট্রেন চালানো হয় রাত ১২টা ৫-এ। পরীক্ষামূলকভাবে আপ ও ডাউন লাইনে মালগাড়ি চালানোর পর, সকাল থেকে শুরু হয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০-এ প্রথম ছাড়ে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এরপর হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস রওনা দেয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে হাওড়া-ভদ্রক রুটে সবকটি ট্রেনই চলছে। শুধুমাত্র হাওড়া-ব্য়াঙ্গালোর যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। বেলা ১০টা ৫০-এর পরিবর্তে হাওড়া থেকে দুপুর ৩টেয় ছাড়বে। 



আরও পড়ুন: Sugarcane Juice Benefits: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?