প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ফের বিপুল সংখ্যক ওএমআর শিট (OMR sheet found) উদ্ধার। এবার শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার (promoter ayan seal) অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস (salt lake office) থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট। সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে ইডি, খবর সূত্র। শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু ইডির। অয়নকে নিয়ে সল্টলেকের অফিসে রাতভর তল্লাশি। তল্লাশিতে মেলা নথির ভিত্তিতে ফের জিজ্ঞাসাবাদ প্রোমোটার অয়ন শীলকে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 'রাতভর তল্লাশিতে মিলেছে বহু চাকরিপ্রার্থীর তালিকা ও নথি', মিলেছে চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডও, দাবি ইডি সূত্রের। এসএসসি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর সল্টলেকে প্রোমোটারের অফিসে লুকিয়ে রাখা হয় নথি, অনুমান গোয়েন্দাদের।
কী জানা গেল?
প্রোমোটারের বাড়িতে কেন চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড ও তালিকা? সকাল থেকে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে। কিন্তু চমকের তখনও অনেকটাই বাকি। অয়ন শীল নামে ওই প্রোমোটারের ফ্ল্যাট থেকে ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে খবর, এই ফ্ল্যাটের ভিতরে ৩৫০ থেকে ৪০০টি ওএমআর শিট লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কেন রাখা হয়েছিল সেগুলি? কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন অয়নকে। ইতিমধ্যে কিছু স্বীকারোক্তিও পাওয়া গিয়েছে। কী ভাবে চলত গোটা প্রক্রিয়া? খোঁজ শুরু করেছেন আধিকারিকরা।
কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির...
ঘটনায় রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, 'আজ যাঁরা তৃণমূল তাঁরা বাম আমলে স্লোগান দিতেন, প্রোমোটারের সরকার, আর নেই দরকার। সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা বহু সরকারি জমি ও ওয়াকফ বোর্ডের জমি প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সেই নিয়ে তৃণমূল আন্দোলন করত। কিন্তু তৃণমূল সিপিএমের থেকে আরও এগিয়ে গিয়েছে।' শমীকের দাবি, তৃণমূল যে পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তির উপর দখলদারি করেছে তা সর্বকালীন রেকর্ড। এখন প্রোমোটাররা জমি পাচ্ছে না, তাই চাকরি বিক্রিতে ঢুকে গিয়েছে, আরও সংযোজন তাঁর।
সন্দেহজনক আনাগোনা...
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইডি-র তল্লাশির পর বলাগড়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেস্ট হাউসে সন্দেহভাজনদের আনাগোনা শুরু হয়। স্থানীয়দের দাবি, বাইকে চড়ে আসেন কয়েকজন। গেস্ট হাউসের মধ্যে খাওয়াদাওয়া হয়। পরে গেস্ট হাউসে তালা দিয়ে তাঁরা চলে যান। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনু গ্রেফতার হওয়ার পরেও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের দাপট কমেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় তাঁরা নতুন করে আতঙ্কিত।
আরও পড়ুন:রাহুল গাঁধীর বাড়িতে দিল্লি পুলিশ