Calcutta High Court: ‘পেন ড্রাইভ দেখলেই সব বোঝা যাবে', নবান্ন অভিযান মামলা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ

Nabanna Abhijan: হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। ২৭ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি

Continues below advertisement

সুনীত হালদার, হাওড়া: বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) মামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে। রিপোর্টের প্রেক্ষিতে জবাবি হলফনামা চান বিজেপির আইনজীবী। হাওড়া এবং কলকাতায় বিজেপির অভিযান নিয়ে দুটি পেন ড্রাইভ জমা দেওয়া হল। ‘আগে পেন ড্রাইভ দেখুন প্রধান বিচারপতি, তাহলেই বুঝতে পারবেন কী ঘটেছিল’। হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) প্রধান বিচারপতিকে জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। ২৭ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি। 

Continues below advertisement

কোচবিহারে অভিযুক্তের খোঁজ: নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায়, আরেক অভিযুক্তের খোঁজে কোচবিহারে যায় কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে দাবি, ঘটনাস্থলে ছিলেন কোচবিহারের বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক প্রীতিতোষ মণ্ডল। বেলডাঙার শুভজিতের মতো তিনিও বেপাত্তা বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।

পুলিশের গাড়িতে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। মঙ্গলবার বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান ঘিরে যখন ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল পরিস্থিতি, তখন তাতে ঘি ঢেলেছিল অগ্নি সংযোগের এই ঘটনা। যেখানে একজনকে দেখা গেছিল পুলিশের PCR ভ্যানে আগুন ধরাতে কাছেই বিজেপির পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও এক যুবক। কলকাতা পুলিশের দাবি, যিনি গাড়িতে আগুন ধরাচ্ছিলেন তিনি হলেন শুভজিৎ ঘোষ ওরফে রনি। বেলডাঙার বিজেপি কাউন্সিলরের ছেলে শুভজিতের খোঁজে, শনিবারই তাঁর বাড়িতে হানা দেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। 

আর দ্বিতীয়জন, যাকে বিজেপির পতাকা হাতে দেখা যাচ্ছে তিনি হলেন, প্রীতিতোষ মণ্ডল ওরফে পুটু। যিনি কোচবিহার জেলার বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক। লালবাজার সূত্রে খবর, তাঁর খোঁজে কোচবিহার পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। যদিও বিজেপির দাবি, গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্তর্ঘাত। একই অভিযোগে রবিবার সরব হতে দেখা গেছে বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক আশা লাকড়াকেও। যদিও ফুটেজকে হাতিয়ার করে, পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল।

কীভাবে অভিযুক্তের খোঁজ? কিন্তু মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যে ওই দু’জনই ছিলেন, তা পুলিশ কীভাবে জানতে পারল? গোয়েন্দাদের দাবি, মোবাইল ফোনের ‘টাওয়ার ডাম্প’ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মঙ্গলবার MG রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানোর সময়,ঘটনাস্থলে অনেক মোবাইল নম্বরের মধ্যে শুভজিৎ ও প্রীতিতোষের মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশনের হদিশ পাওয়া গেছে। লালবাজারের দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই দু’জন অভিযুক্ত মোবাইল ফোন বন্ধ করে বেপাত্তা হয়ে গেছেন।

শনিবার বেলডাঙার বিজেপি কাউন্সিলর সান্ত্বনা ঘোষের, ছেলে শুভজিতের খোঁজে বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। যদিও তাঁর খোঁজ মেলেনি। শুভজিতের প্রতিক্রিয়া নিতে রবিবার আমরা গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। কিন্তু সাড়া মেলেনি কারও। বাড়ির নীচেই পশু-পাখির ওষুধের দোকান রয়েছে কাউন্সিলরের। সেখানকার এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলি আমরা। যদি উল্টো কথা শোনা গেছে এক প্রতিবেশীর মুখে। কিন্তু কোথায় শুভজিৎ ও প্রীতিতোষ? দোষ না করে থাকলে কেনই বা তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন? উঠছে প্রশ্ন।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola