কলকাতা: কলকাতায় (Kolkata) আরও ১ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তর মৃত্যু। ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফের ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যু। কসবার (Kasba) পূর্বাঞ্চল রোডে মৃত্যু অনুরাগ মালাকারের। ৬ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় রুবি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ভর্তির পর থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন অনুরাগ, গতকাল সন্ধেয় মৃত্যু হয়। ডেঙ্গি সংক্রমণের পর মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির, স্বীকার করেছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ (KMC Health Department)।
কলকাতায় ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু: চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার ডেঙ্গি চিত্র রীতিমতো উদ্বেগের। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ৫টি পরিদর্শক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আর এদিনই আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর মিলল। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, “ডায়াবেটিস, ওবেসিটি সহ একাধিক কোমর্বিডিটি ছিল অনুরাগের। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই যোগাযোগে ছিল পুরসভা (KMC)। দাবি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের। গতকাল ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর মৃত্যু মহিলার, দাবি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের।
এবছর এখনও পর্যন্ত কলকাতা ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় মারা গিয়েছেন ৫ জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধ থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে, একদিনে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪০১ জন। রাজ্যে গত ২ সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১ সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি বেড়েছে কলকাতা পুরসভা, হাওড়া পুরসভা, উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভা, বালি পুরসভা ও ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকায়।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জরুরি বৈঠক করেন। তবে সেই বৈঠকে কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধিরা ছিলেন না বলে সূত্রের খবর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৫টি পরিদর্শক দল গঠন করার। ৪টি পরিদর্শক দল দক্ষিণবঙ্গের জন্য, ১টি পরিদর্শক দল উত্তরবঙ্গের জন্য। এছাড়াও হাওড়া ও হুগলিতে ফিভার ক্লিনিক খোলা হবে। ডেঙ্গি আক্রান্তদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য হাওড়ায় খোলা হচ্ছে টেলি মেডিসিন কল সেন্টার।
স্বাস্থ্য দফতরের বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪০১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৩১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিত্সা চলছে সরকারি হাসপাতালে। যে সব জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি, তার মধ্যে রয়েছে।