সমীরণ পাল, টিটাগড়: তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল টিটাগড় (Titagarh)। বি টি রোডে রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ বিজেপির (BJP)। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি। গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির। টিটাগড় ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত বিশাল সাউয়ের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত। টিটাগড়ে অভিযোগকারিণীর বাড়িতে গেলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ চক্রবর্তী, অর্জুন সিংহ। অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা তৃণমূল নেতৃত্বের। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল টিটাগড়: টিটাগড়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার। B T রোডে অবরোধ, বিক্ষোভ বিজেপির। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা। বৃহস্পতিবার, টিটাগড়ের এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে, শুক্রবার সকাল, সাড়ে ১০টা নাগাদ, টিটাগড় থানার সামনে, বিটি রোড অবরোধ করে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা। প্রথমে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। আধ ঘণ্টা পর, ফের রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরা পথ অবরোধ করে। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে, বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জে তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হন।
এদিকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ না নিয়ে নির্যাতিতা এক নৃত্যশিল্পীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। খবর জানাজানি হতেই শুরু হয় শোরগোল। শেষমেশ, প্রায় এক মাস পর মামলা রুজু করল পুলিশ। পাশাপাশি, পুলিশ সূত্রে খবর, বারাসাত মহিলা পুলিশ থানার অভিযুক্ত আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রী-সহ সাত জনকে।
নৃত্যশিল্পীর দাবি, বছর দেড়েক আগে বারাসাতের এক যুবকের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হয়। বাড়িতে যাতায়াত শুরু হলে ওই যুবকের স্ত্রীকে পর্ন শ্যুট করতে দেখে ফেলেন তিনি। মহিলার অভিযোগ, এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই যুবক। তার ভিডিওগ্রাফি করেন যুবকের স্ত্রী। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা আদায় করেন ওই দম্পতি। এরপর ভয় দেখিয়ে নৃত্যশিল্পীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার দাবি, গত ১২ অগাস্ট বারাসাত মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগকারিণীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পরে লিখিত অভিযোগ নিলেও মামলা রুজু হয়নি। বৃহস্পতিবার এই খবর সম্প্রচারিত হয় এবিপি আনন্দে। এর পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। মামলা রুজু করার পাশাপাশি, গ্রেফতার করা হয় এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর স্ত্রী-সহ ৭ জনকে। যদিও ধৃতদের দাবি, তাঁদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। এই র্যাকেটের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Dengue: উত্তরোত্তর বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, পরিদর্শক দল গঠনের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের