ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রাজ্যে ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Dengue Death)। এবার প্রাণ গেল গড়ফার (Garfa) বাসিন্দা এক চিকিৎসকের (Ophthalmologist Dies)। চার দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল মিন্টো পার্কের (Minto Park) একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মৃতের নাম দেবদ্যুতি চট্টোপাধ্য়ায়। ইন্সটিটিউট অফ অফথালমোলজির চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি।


মর্মান্তিক পরিণতি...
যিনি অসুস্থকে সুস্থ করে তোলেন, মরণাপন্নকে জীবনদান করেন, সেই চিকিৎসকেরই প্রাণ গেল মশাবাহিত রোগে। ডেঙ্গি যেন এখন আতঙ্কের আরেক নাম! খাস কলকাতায় ২৮ বছরের যুবকের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি! গড়ফা থানা এলাকার বাসিন্দা দেবদ্যুতি চট্টোপাধ্য়ায় ইন্সটিটিউট অফ অফথালমোলজির চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন।  পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জ্বর নিয়ে মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় চিকিৎসকের। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির হেমারেজিক শক সিনড্রোমের উল্লেখ রয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটে। সূত্রের খবর, তাঁর মাল্টি অর্গান ফেলিওয়র হয়েছিল। মৃত্যুর পর চক্ষুদান করে গিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তিনি নেই। কিন্তু তাঁর দ্যুতি রইল অন্ধজনের আলো হয়ে। 


সার্বিক প্রেক্ষাপট...
এডিস ইজিপ্টাই মশার শরীরে থাকে ডেঙ্গির জীবাণু! সাধারণত এই মশা কামড়ায় দিনে। আর ম্যালেরিয়া হয় অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে। এই মশা রাতে কামড়ায়। বর্ষায় দুয়ের প্রকোপই বাড়ছে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।  এই অবস্থায় সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার ও জ্বর না কমলে রক্তপরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপটে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার মেঘ। ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু তো চলছেই। সম্প্রতি প্রাণ যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার এক গৃহবধূর। অন্যদিকে, কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া।কর্মী আবাসন থেকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেল, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।  গত পরশু, বুধবারই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয় অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বোন পিয়াসি চট্টোপাধ্যায়ের। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা বছর ৪৩-এর পিয়াসি কলকাতায় এসে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন। এদিকে, উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থির মধ্য়েই কর্তব্য়ে গাফিলতির জেরে অতীন ঘোষের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর বোরোর ভেক্টর কন্ট্রোল ইনচার্জ। কিন্তু ছবিটা কবে বদলাবে? কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে ডেঙ্গি পরিস্থিতি? 


আরও পড়ুন:আজও কি বৃষ্টি মহানগরে? কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?