সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে পুরভোটের আগে পেনশন ইস্যুতে শাসকদলকে এক যোগে নিশানা করল বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। খাতের টাকা অন্য খাতে খরচের অভিযোগ বিরোধীদের। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।


কলকাতা পুরসভার (KMC) পেনশন তরজার আঁচ এবার শিলিগুড়িতে (Siliguri Municipality)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুরভোটের লড়াইয়ে পেনশনকে ইস্যু করল বিরোধীরা। পেনশন খাতের টাকা অন্য খাতে খরচের অভিযোগে শাসকদলকে এক যোগে নিশানা করল বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। বামেদের দাবি, পেনশনের টাকা অন্য খাতে খরচ করা জামিন অযোগ্য অপরাধ। এবিষয়ে শিলিগুড়ির ৬ নম্ব ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “দীর্ঘদিন তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় এধরনের কাজ করে আসছে। এরা আইন মানে না। পেনশনের খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করা যায় না। জামিন অযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এরা সেই কাজ করছে। বিপদে পড়ছে মানুষ। তৃণমূলের হাতে পুরসভা সুরক্ষিত নয়।‘’


একই সুর বিজেপির গলাতেও। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ বলেন, “কলকাতা পুরসভার ঘটনা ভয়ঙ্কর। এটা আইনাসিদ্ধ নয়। খেলা মেলায় পরিকল্পনা বহির্ভূত খরচ করে বিপদে পেলেছে। মানুষ নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষকে ঠিক করতে কাদের হাতে তাদেরর স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।‘’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেসও। দার্জিলিঙের কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকারের অভিযোগ, “গৌতম দেব মন্ত্রী থাকাকালীন যে খরচ করেছে তাতে মানুষের উপকার হয়নি> যেকারণে বিভিন্ন ভোটে তৃণমূলকে বঞ্চিত করেছ। কারণ এরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।‘’


বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল। শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব বলেন, “এরা প্রশাসনিক কাজ জানে না। ৭ মাস সময় পেয়েছি। তাতে কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত করেছি। বাম আমলে অনুমোদন ছাড়া ৩০০ কর্মী নিয়োগ হয়েছে। তাদেরও কিন্তু মাইনে দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর কর্মচারীর পেনশনের ব্যবস্থা করেছি। অতীতে কোনও কাগজপত্র ঠিক ছিল না। মানুষ জানে মমতা হাতে কতটা সুরক্ষিত। মানুষে তাদের ওপরে ভরসা।‘’


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: আলিপুর চিড়িয়াখানায় গন্ডগোলের ঘটনায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের