নয়াদিল্লি : কয়েক মুহূর্তের ভয়ঙ্কর দুলুনি, যা কার্যত চেহারাটাই বদলে দিয়েছে তুরস্কের ( Turkey, Syria Earthquake ) ! একের পর এক গগনচুম্বি ইমারত কার্যত দেশলাইয়ের বাক্সের মতো ভেঙে পড়েছে! চাপা পড়ে গেছেন হাজার হাজার মানুষ ( Earthquake )! তুরস্ক থেকে সিরিয়া, ছবিটা বদলায়নি!

মৃত্যুর হিসেব


কত মানুষ যে এখনও নিখোঁজ, তার কোনও হিসেব নেই ! এখনও পর্যন্ত তুরস্কে, ৫,৮৯৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও অবধি সিরিয়ায় ১,৯৩২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সবমিলিয়ে মৃত্যু  ৭,৮২৬।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা অনুমান, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২০ হাজার অবধি পৌঁছতে পারে। 


রাখে হরি মারে কে ! 


ইতিমধ্যেই সংঘাতে জর্জরিত সিরিয়া সীমান্ত। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ভূমিকম্প যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে চলছে উদ্ধারকাজ। তীব্র শীতের কামড় থেকে বাঁচতে কোথাও আবার ধ্বংসস্তূপই পোড়ানো হচ্ছে। ভয়াবহ এই মৃত্যু মিছিলের মধ্যেও এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা মনে করিয়ে দেয় সেই পুরনো প্রবাদ - রাখে হরি মারে কে ! 


ধ্বংসের মাঝে প্রাণের খোঁজ


সিরিয়ার ধ্বংসস্তূপ একের পর এক লাশের সারি। তার মধ্যে থেকেই উদ্ধারকারী দল বের করে আনল এক শিশুকে। যার নাড়ি কাটা হয়নি তখনও । মায়ের শরীরের সঙ্গে তখনও আটকে তাঁর আম্বিলিকাল কর্ড। 


সেই নবজাতকের এক আত্মীয়ও বেঁচে রয়েছেন। খলিল আল-সুওয়াদি। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান,  তাঁরা ধ্বংসস্তূপ সরাতে সরাতে শিশুর কান্না শুনতে পান। তারপর সদ্যোজাতকে উদ্ধার করেন। তখনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেন, তার পরিবারে আর কেউই বেঁচে নেই। 


ভূমিকম্পে ২৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে


৭.৮-মাত্রার ভূমিকম্প সোমবার আঘাত হানে। শহর তখন ঘুমে। পরপর বহুতল ধসে পড়ে চোখের পলকে।  তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এবং কাহরামানমারাস শহরগুলি এখন ধুলো বাড়ি, ইটের পাহাড় মাত্র। ধ্বংসলীলার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।


তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরে উদ্ধারকারীরা বলছেন, 'এমন অবস্থা দেখিনি... শিশুরা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে'। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, "এটি এখন সময়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতা।" ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে যে বিশাল ভূমিকম্পে ২৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।