রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা: বিমানের টিকিট (Air ticket) করিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Cheating) অভিযোগে গ্রেফতার ভ্রমণ সংস্থার কর্ণধার। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার (Bidhannagar Cyber Crime Police Station) পুলিশ।


বিমানের টিকিট কাটার নামে প্রতারণা


পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের অগাস্ট মাসে দৃশনা ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল নামে একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাওয়ার ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন কৃষ্ণা দেও আগরওয়াল। তার জন্য ওই সংস্থাকে আগাম দু’হাজার টাকাও দেন তিনি। তবে ট্রেনের টিকিট ওই সংস্থা কেটে দিতে পারেনি। তার পরিবর্তে ওই সংস্থা জানায়, সেই টাকা আগামী বুকিংয়ের সময় ফেরত করে দেওয়া হবে। এর কিছুদিনের মধ্যেই অভিযোগকারী ফের চেন্নাই যাওয়া এবং আসার বিমানের টিকিট কেটে দেওয়ার জন্য ৫৩ হাজার টাকা ওই ভ্রমণ সংস্থার মালিককে দেন। কিন্তু এরপরেও টিকিট কেটে দিতে পারেনি ওই সংস্থা। বারবার টাকা নিয়ে এই সংস্থার মালিক প্রতারণা করছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দারস্ত হন কৃষ্ণা।


তদন্ত শুরু বিধাননগর পুলিশের


এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে গতকাল রাতে দমদমের বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং একটি ট্রেড লাইসেন্স উদ্ধার হয়েছে। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি আর কারও সঙ্গে এই ধরনের প্রতারণা করেছেন কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।


বিদেশে চাকরির নামে প্রতারণা


অন্যদিকে, বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে নয়ডা থেকে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এলাকায় দফতর খুলে ওই প্রতারণা চক্র কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। 


পূর্ণাংশু বসু নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, চাকরির জন্য একটি অনলাইন পোর্টালে নিজের বায়োডেটা আপলোড করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে ইমেলে তাঁর কাছে একটি চিঠি আসে। তাতে মিস পায়েল নামের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী পায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কথাবার্তা হওয়ার পর তাঁকে সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থার মার্কেটিং বিভাগে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পায়েল। এরপর ওই সংস্থার প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে এক ব্যক্তি ফোন করেন বলে দাবি পূর্ণাংশুর। তিনি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাঁকে কাজের অভিজ্ঞতা নথি আকারে জমা দিতে বলেন। সেসব মিটলে পায়েল তাঁকে ফোন করে জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা জমা করতে হবে। চাকরি না পেলে ওই টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন তিনি। কথামতো টাকা জমা করেন পূর্ণাংশু। এর কিছু দিন পর ফের ডিজিটাল সিভি তৈরির জন্য তাঁর কাছ থেকে টাকা চান পায়েল। তখনই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে বুঝতে পারেন পূর্ণাংশু। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের ওই প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। সেখান থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় আরও এক মহিলাকে। 


আরও পড়ুন Cyber Crime: ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার ১