কলকাতা: সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ের পর অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। তার জেরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের পরেই, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করল বড়তলা থানার পুলিশ। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার (Pabitra Sarkar)। 


কী বললেন পবিত্র সরকার? 


"পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই যদি গ্রেফতার করে থাকে, আমার মনে হয় এটা বেআইনি কাজ হয়েছে। এটা পুলিশের পক্ষে অন্যায় এবং গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক ব্যাপার। একটা বই বাজারে চালু আছে বলেই ধরা যায়, কোনও সরকার সেটা নিষিদ্ধ করেনি। সেই বই পাঠক চাইলে পড়তে পারে। তার উদাহরণ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে। যেটা বইতে রয়েছে, সেটা কতটা অপরাধ আইনের চোখে, তা নিয়ে প্রশ্ন  উঠে গেল।'' প্রতিক্রিয়া শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের।


কী দাবি কৌস্তভের? 


জামিন অযোগ্য ধারায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কৌস্তভের মন্তব্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগের কারণেই এই গ্রেফতার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪A এবং ১২০B ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় কৌস্তভকে। কৌস্তভের দাবি, গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় কৌস্তভের বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। কৌস্তভকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া কৌস্তভ বাগচীর।


এদিন বিকেলে জামিন পান তরুণ কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। গ্রেফতারির সাড়ে ৮ঘণ্টার মধ্যেই জামিন। আর জামিনের পরই মাথা ন্যাড়া করা শুরু করেন তিনি। রাস্তায় বসেই চুল কামাতে শুরু করেন। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। কৌস্তভ বলেন, 'আগে মাথার চুল কামাব তারপর কথা বলব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যতক্ষণ না উৎখাত করতে পারছি, আমার মাথার চুল আমি গজাব না।'               


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে জবকার্ড দুর্নীতির অভিযোগ,কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর