ওয়াশিংটন: বয়স হয়েছে ৮০ বছর। মাঝে মধ্যে টলে পড়ে যাওয়ার নজিরও রয়েছে। তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। এ বার জানা গেল তাঁর বুকে ক্যান্সারের কোষ ছিল বলে। গত মাসে অস্ত্রোপচার করে সেগুলি সরানো হয়েছে বলে জানা গেল Joe Biden Cancer Treatment)।


বাইডেনের বুকে ক্যান্সারের কোষ ছিল বলে জানা গিয়েছে


হোয়াইট হাউসে বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর এই অস্ত্রোপচার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বাইডেনের চিকিৎসা করছেন তিনি। শুক্রবার অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন ও’কনর। তিনি জানিয়েছেন, বাইডেনের বুকে ক্যান্সারের কোষ বাসা বাঁধে। তাতে বেসাল সেল কার্সিনোমা পাওয়া যায়, যা কিনা ত্বকের ক্যান্সারের কোষ (Skin Cancer)।


অস্ত্রোপচার করে সেটি বাদ দেওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ও’কনর। আপাতত বাইডেনের আর কোনও বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচার হয়। ক্ষত এতদিনে শুকিয়েও গিয়েছে। তবে নিয়মিত ত্বকের স্ক্রিনিং চলবে বলে জানিয়েছেন ও’কনর (US President)।


আরও পড়ুন: Bank Fraud: এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে সাবধান, কেওয়াইসির নামে চলছে প্রতারণা


ত্বকের ক্যান্সারের একেবারে প্রথামিক পর্যায়ে বেসাল সেলের সন্ধান মেলে। সেটি সহজে নিরাময়যোগ্য। বিশেষ করে গোড়াতেই ধরা পড়লে। এই ধরনের ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে না বলে জানিয়েছেন ও’কনর। তবে আকারে বাড়তে পারে। তাই সেটি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।


অস্ত্রোপচার করে সেটি বাদ দেওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেনের চিকিৎসক


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগ বাইডেনের ত্বকের উপরিভাগে  ক্যান্সারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।  হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগেই সেগুলি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলেন বাইডেন। অল্পবয়সে রোদে ঘুরে ঘুরে দিন কাটত। তা থেকেই এই সমস্যা বলে জানিয়েছেন ও’কনর। বাইডেনের স্ত্রী, আমেরিকার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের ডান চোখ এবং বুক থেকেও ক্যান্সারের কোষ কেটে বাদ দেওয়া হয় এ বছর জানুয়ারিতে। ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাইডেন পরিবার বরাবরই সক্রিয়। এর আগে তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ব্যো মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।


বেসাল সেল কার্সিনোমায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমেরিকার মোট জনসংখ্যার প্রতি পাঁচ জন ক্যান্সার আক্রান্তে মধ্যে একজনের শরীরে এই কোষ পাওয়া যায়। চিকিৎসায় দেরি হলে ত্বকের কোষ সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে যায়। তবে সেটি শরীরে একদিক থেকে অন্য দিকে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। বরং আকারে হতে থাকে ওই ক্যান্সারের কোষ। তাই সেটি কেটে বাদ দেওয়াই রীতি।