রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জঙ্গল (forest) ছেড়ে ক্রমেই লোকালয়ের (residential area) দিকে আসছে হাতির (pack of elephants) দল। চিন্তায় স্থানীয়রা। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াপাড়া এলাকা সংলগ্ন তিস্তা (teesta) নদীর পাড়ে থাকা ওই দলটিতে অন্তত ৩০টি হাতি রয়েছে বলে ধারণা বাসিন্দাদের। তাদের তাণ্ডবে খেতের ফসলের (crops) কী হবে, ভেবে কূলকিনারা করতে পারছেন না কেউ।


জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে...
বন দফতর সূত্রে খবর, বৈকণ্ঠপুর জঙ্গল ছেড়ে ক্রমেই লোকালয়ের দিকে আসছে বড়সড় হাতির দলটি। এই মুহূর্তে তাদের অবস্থান জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের বানিয়াপাড়া এলাকা সংলগ্ন তিস্তা নদীর পাড়ে। দলে ৩০ টির বেশি হাতি রয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁরা নদীর চড়ে ধান-সহ অন্যান্য সবজি চাষ করেছেন। কিন্তু বিঘার পর বিঘা ধান খেয়ে সাবার করে দিচ্ছে হাতিরা। খবর চাউর হতেই হাতি দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ হাজির হয়েছেন সেখানে। যদিও হাতির দলটি এই মুহূর্তে নদীর মাঝে কাশ বনে রয়েছে।  তবে খবর পেয়েই সেখানে দল নিয়ে হাজির বন আধিকারিকেরা।


বার বার লোকালয়ে কেন?
গত অগাস্টেই শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার খাপরাইলে ঢুকে পড়ে হাতির পাল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বন দফতরের কর্মীরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে বনকর্মীরা তাদের জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তার আগে জুলাই মাসে, হাতির তাণ্ডবে বেশ কয়েকদিন ভুগেছিল ঝাড়গ্রাম জেলা। সেবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় পিপড়ি এলাকায় তাণ্ডব চালায় হাতির দল। খাবারের সন্ধানে ঢুকে ১৩টি হাতির দল বড়পিপড়ি গ্রামের বাসিন্দা গুনা মাহাতোর বাড়ি ভেঙে দেয়। স্থানীয়রা হাতিগুলিকে তাড়া করলে সেগুলি পুকুরিয়া বিটের পাঁচামি গ্রামের দিকে চলে যায়। কিন্তু সেখানেও তাণ্ডব। অভিযোগ, পাঁচামি গ্রামের রাজু মুর্মুর বাড়ি ভেঙে  দেয় তারা। সেখান থেকে স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে পুকুরিয়া বিটের মাসাংডিহির জঙ্গলের দিকে চলে যায় হাতির দল। কিন্তু আতঙ্ক কমেনি। এলাকার বাসিন্দাদের কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হয় হাতির ভয়ে। 
উত্তরবঙ্গে হাতির দাপট নতুন কিছু নয়। বিশেষত ফসল পাকার মরসুমে প্রায়ই হানা দেয় গজরাজের দল। খেতের আনাজ সাবাড় করে চলে যায়, বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। এবারও সেই আশঙ্কাই করছেন তিস্তাপাড়ের বহু মানুষ।


আরও পড়ুন:কালীপুজোর আগে শহর থেকে বাজেয়াপ্ত প্রায় হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি !