কলকাতা: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote 2023) ঘিরে ইতিমধ্যেই অভিযোগের পাহাড় জমে উঠেছে। কোথাও নদীর পাড়ে পাওয়া গিয়েছে রাজনৈতিক দলের ছাপ মারা ব্যালট। কোথাও আবার দেদারে ছাপ্পা ভোটের ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও বিতর্কিত সিসিটিভি ফুটেজ। উঠেছে বিতর্কের ঝড়। তবে শংসাপত্রের ইস্যুও কমবেশি অভিযোগ উঠে আসছিল জেলায় জেলায়। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) এবার সার্টিফিকেট-দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এখানেই শেষ নয়, ১৫ অগাস্টের পর তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।


'পঞ্চায়েতে সংরক্ষিত আসনে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটে প্রার্থী'


শুভেন্দু বলেছেন, 'পঞ্চায়েতে সংরক্ষিত আসনে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে প্রার্থী হয়েছে। তৃণমূলের ১০০-র বেশি লোক ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ভোটের সময় যত সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে অধিকাংশই ভুয়ো। ১৫ অগাস্টের পর তথ্যপ্রমাণ ফাঁস করব। সংশ্লিষ্ট বিডিও, এসডিও-দের পরিণতি উলুবেড়িয়ার মতো হবে। ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, গুচ্ছ গুচ্ছ দুর্নীতি হয়েছে', অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। 


ঘটনা ২


অপরদিকে, শুধু ভুয়ো সার্টিফিকেটের কাণ্ডকারখানা নয়, গণনাকেন্দ্রের (Polling Centre) মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নির্দল প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র কেড়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠে এসেছিল এবার তৃণমূল প্রার্থীর (TMC Candidate) অনুগামীদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাদুড়িয়ার বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাজরা গ্রামের ঘটনা। 


গণনার দিন অভিযোগ তুলেছিলেন সেলিমও


পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে এনেছিলেন খোদ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি সেসমময় বলেছিলেন, 'এমএলএ-রা বসে আছেন গণনাকেন্দ্রে ! জেতা প্রার্থী, তাঁর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না। শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছে, তারপরেও কেড়ে নিচ্ছে। ছিনতাই করে নিচ্ছে। সিপিএম যেখানে জিতছে, সেখানে রিকাউন্টিংয়ের নাম করে ৩ থেকে ৪ বার কাউন্টিং করা হচ্ছে।'


আরও পড়ুন, 'এইরকম সৎ রাজনীতিবিদ..', বুদ্ধদেবকে দেখে 'প্রার্থনা' শুভেন্দুর


উলটপুরান


যদিও রাজ্যের সর্বত্র চিত্রটা এক নয়। কোথাও যুক্তিগতভাবেও জেরবার শাসকদল। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রামের কালিচরনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যেখানে জিতেও স্বস্তি মেলেনি রাজ্যের শাসক শিবিরের। প্রধান পদটি তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলার জন্য সংরক্ষিত হলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও এসসি প্রার্থীই জেতেনি। অপরদিকে বিজেপির এসসি মহিলা প্রার্থী জয়ী হওয়ায় বোর্ডের প্রধানের অন্যতম দাবিদার তারা। আর এখানেই তৈরি হয়েছে ইস্যু।