কলকাতা: আদালতে জটমুক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। নির্বাচন নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করল না আদালত (Court)। নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন (Election Commision) ।  


নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন


নির্বাচন নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন। তবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের গণনার ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছিল, তা গ্রহণযোগ্য নয়।


রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা


আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের মানুষের গণনার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম থাকতে পারে না বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অন্য ইস্যুতে নতুন করে আবেদন জানাতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের গণনা নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ।


জেলাশাসক হবেন পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক


 শুধুমাত্র জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করবেন প্রিসাইডিং অফিসারকে। জেলাশাসক হবেন পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক। শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি কর্মচারী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বা পৌরসংস্থার কর্মচারীদের নিয়েই ভোটগ্রহণের দল গঠন। প্রার্থী বা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কাউকে ভোটদানকারী দলের সদস্য হিসাবে নিয়োগ নয়। যে ব্লক এলাকায় নির্বাচন, সেই অঞ্চলের আবাসিক ঠিকানার ভোটদানকারী দলের সদস্য রাখা যাবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। 


আরও পড়ুন, তিলজলাকাণ্ডে 'অশান্তি' ছড়ানোর ঘটনায় গ্রেফতার ২০ 


 কোনও প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করলে তাঁরা পোলিং পার্টি হতে পারবেন না


এর আগেও একাধিক নির্দেশিকার কথা জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছিল আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ কোনও প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করলে তাঁরা পোলিং পার্টি হতে পারবেন না। এমনকি পোলিং পার্টির সদস্যরা যে ব্লকের বাসিন্দা হবেন বা যে ব্লকের কর্মরত হবেন সংশ্লিষ্ট ব্লকে নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনটাই নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। পোলিং পার্টি গঠন করা হবে রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারি কর্মচারী, রাজ্য বা কেন্দ্রের অধীনে থাকা দফতরের কর্মী, পুরসভা, সরকারি বা  সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ,উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে।