উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন এবং সোমনাথ মিত্র, কলকাতা: এবার প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) লড়াই করতে চলেছে আইএসএফ (ISF)। কিন্তু, বামেদের (CPIM) সঙ্গে জোট বাঁধার ঘোষণা করলেও, আইএসএফের হাত ধরতে কি অনীহা রয়েছে কংগ্রেসের (Congress)? সেই জল্পনা উস্কে, শুক্রবার আইএসএফ সংক্রান্ত প্রশ্নে নীরব রইলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিতে ছাড়েনি তৃণমূল।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমরা বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়ব। কর্মীদের বলে দেব।' সাগরদিঘির জয়ের পর পঞ্চায়েত ভোটেও জোট বেঁধে নামছে বাম-কংগ্রেস। ভোটের দিন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই তা ঘোষণা করে দিলেন অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে, এবারই প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করতে চলেছে ISF। যারা একুশের বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল।
কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস কি ISF-এর সঙ্গে আদৌ জোট বাঁধতে চায়? সেই জল্পনা জোরাল করে, ISF সংক্রান্ত ইস্য়ুতে নীরব থাকলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যা তাঁর অনীহার বহিঃপ্রকাশ কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।
একুশের বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস-ISF জোটের হয়ে একমাত্র জয় পেয়েছিলেন ISF-এর নৌশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু, এই জোট প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই ISF-এর সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। ২০২১-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে একসঙ্গে সমাবেশ করেছিল বাম-কংগ্রেস-ISF। সেদিন অধীর চৌধুরীর ভাষণ চলাকালীনই মঞ্চে আসেন আব্বাস সিদ্দিকি। মঞ্চের নেতারা আব্বাসকে অভিবাদন জানান। চিৎকার চেঁচামেচিতে ভাষণ বন্ধ রেখে দেন অধীর চোধুরী। পরে বিমান বসুর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ফের ভাষণ শুরু করেন অধীর চৌধুরী।
এরপর অধীর চৌধুরীর মন্তব্যে ISF-প্রশ্নে তাঁর অনীহা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। রানিনগর ও ফরাক্কার মতো আসনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থীও দিয়েছিল আইএসএফ। এই প্রেক্ষাপটেই কি পঞ্চায়েত ভোটে ISF-এর সঙ্গে জোট বাঁধতে অনীহা কংগ্রেসের? কিন্তু, সেক্ষেত্রে ISF কী করবে? বামেরাই বা কোন পথে হাঁটবে?
দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে! লড়াইয়ে নেমে পড়েছে সব দল।কিন্তু, বাম-কংগ্রেস জোটে কি কাঁটা হয়ে থাকল ISF?
আরও পড়ুন, মনোনয়ন পেশের সময় পর্যাপ্ত নয়, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানাল আদালত