কলকাতা: ভোটের বাকি আর কয়েক ঘণ্টা, এখনও বহু বুথে নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী! কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোটের ডিউটিতে যেতে আপত্তি ভোটকর্মীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রানিনগরে ডিসিআরসি সেন্টারে বিক্ষোভ। নির্দেশ অনুযায়ী স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন, দাবি বিডিও-র। পঞ্চায়েত ভোটের বাংলা যেন কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মেলেনি। এখনও ৪৮৫ কোম্পানির মধ্যে ২২২ কোম্পানির অপেক্ষা চলছে। লেহ থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। লেহ থেকে পানাগড়ে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পানাগড় থেকে বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। এদিকে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও পর্যন্ত না আসায় বুথকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের উদ্বেগ বাড়ছে। রানিনগরে এক বুথকর্মী বলছেন, ''এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছোয়নি। আমাদেরও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। কালই ভোট। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছত, তবে ভোটটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যেত ঠিকভাবে।''
এরমধ্যেই বিডিওর তরফে জানানো হয়েছে যে, নির্দেশ অনুযায়ী স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। কিন্তু তাতেও আশঙ্কা কাটছে না বুথকর্মীদের। রানিনগরে ডিসিআর সেন্টারে বিক্ষোভ একাধিক ভোটকর্মীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী না আসায় অনেক ভোটকর্মী ভোটকেন্দ্র যেতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য সঠিক নিরাপত্তা না দিলে ভোটের দায়িত্ব তাঁরা আসবেন না।
নন্দীগ্রামেও ছবিও অনেকটা একইরকম। এবিপি আনন্দের সাংবাদিক নন্দীগ্রামে তাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়েছিলেন। সেখানে দুটো বুথ রয়েছে। সেই নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ৫৪ নম্বর বুথের সামনে গিয়ে দেখা গেল যে রাজ্য পুলিশের দেখা মিলেছে মাত্র ২ জনের। রাজ্য পুলিশের একজনকে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ''আমরা এখানে মাত্র ২ জন কনস্টেবল রয়েছি। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে কি না বুঝতে পারছি না।"
উল্লেখ্য, ১ থেকে ২টি বুথে মোতায়েন থাকবে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ৩ থেকে ৪টি বুথ আছে এমন জায়গায় মোতায়েন থাকবে ৮ জন জওয়ান। ৫ থেকে ৬টি বুথ আছে এমন জায়গায় থাকবে ১২ জন জওয়ান। ৭ এবং ৭-এর অধিক বুথে মোতায়েন থাকবে ১৬ জন জওয়ান। স্ট্রং রুমে মোতায়েন থাকবে ১ কোম্পানি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮০ জন জওয়ান বাহিনী ভাগ করে মোতায়েন সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ফর্মুলা মেনে নিল কমিশন।