কলকাতা: 'বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক'। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Union Home Minister) চিঠি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। অবাধ ও সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোট করতে অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আবেদন সুকান্তর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর: উত্তর থেকে দক্ষিণ, মনোনয়ন পর্ব ঘিরে রাজ্যের দিকে দিকে অশান্তির ছবি। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে বোমাবাজি। ঝরল রক্ত, ঘটল প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটল। এই পরিস্থিতি বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। অবাধ ও সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোট করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শেষ হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। বোমা-গুলির লড়াই। খুনোখুনি, রক্তপাত। মনোনয়ন-পর্বের শুরু থেকে শেষ দেখা গিয়েছে একই ছবি। দিকে দিকে অশান্তির আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিরোধীরা। তাঁর দাবি শান্তির পরিবেশ রয়েছে বাংলায়। শুধু তাই নয়, মনোনয়ন শান্তিপূর্ণ বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'কোনও রাজ্যে শান্তিতে কেউ এত নমিনেশন জমা দিতে পারেনি। বাংলায় মানুষ শান্তিতে আছে। আমাদের দলের কর্মী খুন হয়েছে। সিপিএমের সময় শ্মশানের শান্তি, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কী হয় ?' মনোনয়নে অশান্তি নিয়ে বিরোধীদের নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আর যেদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সেদিনই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও সরব মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “মাত্র ২টি বুথে গন্ডগোল, তার জন্য ঢাল-তরোয়াল নিয়ে চলে এল। মা-বোনেরা জোট বাঁঝুন, ভয় পাবেন না। লাঠি নিয়ে এলে আলুভাজা করে খাইয়ে দেবেন। বাংলাজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে। মণিপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়ে কী লাভ হয়েছে? ২০১৩-এ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছিল, ৩৯ জন মারা গিয়েছিলেন। শীতলকুচিতে ৪ জনকে গুলি করে মেরেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকালও কোচবিহারে এক যুবককে গুলি করে মেরে দিয়েছে' কাকদ্বীপের সভা থেকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?