কলকাতা : রাজ্যপাল ( C V Ananda Bose ) তলব করলেও আজ রাজভবনে যাচ্ছেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ( State Election Commissioner ) । রাজ্যপালকে তিনি জানালেন, 'নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারবেন না' ! 



 রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে শনিবার তলব করলেন রাজ্যপাল। রাজীব সিন্হাকে রাজভবনে ডেকে পাঠান সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। সেখান থেকে হিংসা রুখতে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।  এরপরই শনিবার দুপুর ২টোয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। 

এই তলব পেয়ে ফোন করে রাজ্যপালকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা জানান তিনি এদিন হাজির হতে পারবেন না। নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত তিনি। পরে কোনও একদিন সময় চেয়ে নেবেন তিনি। এখন রাজ্যপাল- রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাৎ কবে হয়, সেদিকে সকলের নজর থাকবে। 

শুক্রবার  সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড়ের পর আজ ক্যানিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল। হিংসা রুখতে কড়া পদক্ষেপে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ক্যানিং থেকে রাজ্যপাল কী বলেন সেদিকেও নজর থাকবে। 


বুধবার, মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের কোন্দলের জেরে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যানিং। পুলিশের দাবি, গুলিবিদ্ধ হন দু'জন! বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিন, সকাল থেকে সক্রিয় হতে দেখা যায় পুলিশকে।  বিডিও অফিসের এক কিলোমিটার দূরে রীতিমতো পাহারা দিয়ে অটো, টোটো আটকানো হয়।  দুপুরে ১৪৪ ধারা কার্যত শিকেয় তুলে প্রস্তাবকদের নিয়ে একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন তৃণমূলের ৫৬ জন।  মনোনয়ন পর্বে বারবার অশান্তি ছড়ায় ক্যানিংয়ে। বিডিও অফিসের সামনে জয়ায়েত, হট্টগোল বেঁধে যায় ।পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। মনোনয়ন পর্বের শেষ লগ্নে দেখা যায় অন্য ছবি। চার বিরোধী প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ান তৃণমূল বিধায়ক।   

ভাঙড়-কাণ্ডের পর পঞ্চায়েত-অশান্তি নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাজভবনের তরফে। সেখানে বলা হয়েছিল, 'পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই মৃতের সংখ্য়া যেভাবে বাড়ছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। নির্বাচনে জয় ভোটের গণনার ভিত্তিতে হওয়া উচিত, মৃতদেহের গণনার ভিত্তিতে নয়। গুন্ডা, দুষ্কৃতীদের দাপিয়ে বেড়াতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত মানে, গণতন্ত্র আক্রান্ত, সাধারণ মানুষ আক্রান্ত, সংবিধান আক্রান্ত, নতুন প্রজন্ম আক্রান্ত। এই শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। শেষের শুরু পশ্চিমবঙ্গেই হবে। '