শিবাশিস মৌলিক, নন্দীগ্রাম : অভিষেকের ( Abhishek Banerjee ) বার্তাই সার! মনোনয়নের তৃতীয় দিনেও জেলায় জেলায় সন্ত্রাস। চতুর্থ দিনে কী হবে? আশঙ্কায় রাজ্যবাসী। মনোনয়ন পর্বে আজ নজরে নন্দীগ্রাম ( Nandigram ) ।রাজ্যজুড়ে মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির আবহে শুভেন্দু অধিকারীর ( Suvendu Adhikari ) নেতৃত্বে মিছিল করে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন বিজেপি প্রার্থীরা। ২০২১-এর পর ২০২৩। বিধানসভা ভোটের পর এবার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন! আবার রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ ঘুরে গেল নন্দীগ্রামের দিকে!
মঙ্গলবার বিকেলে বনগাঁয় যাবেন বিরোধী দলনেতা। হাসপাতালে ভর্তি বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াকে দেখতে যাবেন তিনি।
দু’দলের কাছেই নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজ ফাইট
রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র নন্দীগ্রাম। একুশের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে এই আসনে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু। তারপর থেকে শাসক বিরোধী, দু’দলের কাছেই নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেল শুভেন্দু অধিকারীরা। পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু। বিধানসভা ভোটের মতোই কি পঞ্চায়েত লড়াইয়ে নজর কাড়বে নন্দীগ্রাম ?
শুভেন্দু বনাম অভিষেক
গত বৃহস্পতিবার নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই তাঁকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানান অভিষেক। বলেন, 'নন্দীগ্রামের শান্তির মাটিতে আগুন লাগানো বা অশান্তি করার চেষ্টা করেছে, সেই গদ্দারদের জামানত আগামী দিন বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে। গদ্দারদের বলব, যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে চণ্ডীপুরের যেখান থেকে শুরু করেছি, আর নন্দীগ্রামের বাসস্ট্যান্ড, যেখানে শেষ করব, ২০ কিলোমিটার মানুষের সমর্থন নিয়ে। এখন ক'টা বাজে, রাত ৯টা ১০। এখনও মানুষের ভিড়। ক্ষমতা আছে?' তিনি আরও বলেন, ' লোডশেডিং করে জেতানো নেতা। এ হতে পারে না। অন্ততপক্ষে ৫০ হাজারের বেশি ব্যবধানে, যদি আগামী দিন নতুন করে নির্বাচন হয়, কোর্টের রায়ে, নতুন করে আগামীদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী এই আসনে জিতবেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। '
পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি শুভেন্দুও। তিনি বলেন, ' ২০১১ সালে হাজার হাজার বিরোধী দলের কর্মী শহীদ হয়ে, আপনার পিসিকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম। তাই আপনি তিন হাজার পুলিশ নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। এবার ডায়মন্ডহারবারে ভোট হলে অভিষেক হারবে '
একদিনে পঞ্চায়েত ভোট করার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিলেন শুঙেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ' রাজ্যে ৪২ হাজার পুলিশ দিয়ে ৭০ হাজার বুথে এক দিনে ভোট করাবে! এ তো মৃত্যুকে ডেকে আনা। আধাসেনা দিয়েই ভোট হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়বে' ।
হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কারে ক্রমেই বাতাস ভারী নন্দীগ্রামের। হবে কি শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন পেশ ? তাকিয়ে রাজ্যবাসী।