ভাঙড়: মনোনয়ন ঘিরে ফের অগ্নিগর্ভ ভাঙড় (Bhangar)। পুলিশি নিরাপত্তায় মোড়া বিডিও অফিসের এক কিলোমিটারের মধ্যে বিজয়গঞ্জ বাজারে মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ছে বোমা। আইএসএফ (ISF) প্রার্থীদের অভিযোগ, মনোনয়ন আটকাতে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এক আইএসএফ কর্মী আহত হন। "আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন আটকাতেই তৃণমূলের বোমাবাজি,'' অভিযোগ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddiqui)।
ফের অগ্নিগর্ভ ভাঙড়: মনোনয়ন ঘিরে রণক্ষেত্র ভাঙড়। পুলিশের সামনেই দেদার বোমাবাজি। মনোনয়ন পর্বর চতুর্থ দিনেও ঝরল রক্ত। বিডিও অফিসের অদূরে ৭ রাউন্ড গুলি চলার অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় বিডিও অফিসে ঢুকলেন ISF প্রার্থী। নৌশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ, "আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন আটকাতেই তৃণমূলের বোমাবাজি করছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব। আমাদের কয়েকজন প্রার্থীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। শাসকদল এলাকায় আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে। এমনই অবস্থা যে সামনের গেট গিয়ে প্রার্থীকে নিয়ে যেতে পারছে না পুলিশ।''
পুলিশের সামনেই দেদার বোমাবাজি: পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও ইটবৃষ্টি হয়। বোমার মুখে পিছু হঠে পুলিশ। রক্তাক্ত হন কাশীপুর থানার এক এসআই। বোমার স্প্লিন্টারে এক আইএসএফ কর্মী আহত হন বলে দাবি। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, মনোনয়ন আটকাতে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির দাবি, বোমাবাজির খবর দিতে আসায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। বোমা বাঁধার সময় আটক, দাবি পুলিশের। ভাঙড়ের ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
মনোনয়ন ঘিরে দিকে দিকে উত্তেজনা: ক্যানিংয়েও মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা। অভিযোগ, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক অফিসের ভিতরেই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের দাবি, বিজেপি প্রার্থীদের মেরে বের করে দেওয়া হয় বিডিও অফিস থেকে। মনোনয়ন জমা না দিতে পেরে ফিরে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?