কলকাতা: আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll 2023)। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই দিকে দিকে অশান্তির ছবি। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, কোনওরকম আলোচনার পথে না গিয়ে নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, ১৩ জুন, সর্বদল বৈঠক ডেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)।
বিরোধীদের অভিযোগ: খুন, অস্ত্রের ঝনঝনানি, লাঠালাঠি...মারপিট। মনোনয়নের শুরুতেই জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে অশান্তি। কোথাও আক্রান্ত হয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস এবং বিজেপি। কোথাও আবার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সিপিএম। শুক্রবার, কংগ্রেস কর্মী খুনের পর, রাজ্যপালকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত ভোট করানোর আবেদন করেন তিনি। শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা। বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই পরিকল্পনাহীনভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজেপি প্রার্থীরা বহু জায়গায় মনোনয়নপত্র পাননি। মনোনয়নের প্রথম দিন কংগ্রেস কর্মী খুন হওয়ায় বিরোধী শিবিরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
রাজ্যপালের বার্তা: এরপরই, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। সূত্রের দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজ্যপাল বলেন, “মনোনয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন যেন হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কোনও মূল্যে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে সব রকমের পদক্ষেপ করা হবে।’’
সর্বদল বৈঠকের ডাক: এরপরই ১৩ জুন অর্থাৎ সোমবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, মনোনয়নের অশান্তি নিয়ে এদিন মুর্শিদাবাদ, আসানসোল এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Diabetes in India: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস! গোয়ায় সর্বোচ্চ, ICMR রিপোর্টে বাংলার ছবিটা কী?