হিন্দোল দে ও শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন নিহতের মেয়ে ও তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী! তাঁর দাবি, রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন, যে তৃণমূল করে, তারও ভরসা নরেন্দ্র মোদির ওপরে।
সিবিআই তদন্তের দাবি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শনিবার রাতে গুলি করে খুন করা হয়েছে যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লাকে। সেই ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন খোদ নিহত যুব তৃণমূল কর্মীর মেয়ে এবং আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, “পরিবার সিবিআই তদন্ত চাইছে মানে রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা করতে পারছে না। যে তৃণমূল করে, তারও ভরসা নরেন্দ্র মোদির ওপরে। মমতা ব্যানার্জির ওপর ভরসা নেই।’’
শনিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বাসন্তীর ফুলমালঞ্চের বাসিন্দা, বছর বিয়াল্লিশের যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হঠাৎ তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে দুটি বাইকে আসা দুষ্কৃতীরা। জিয়ারুলকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালাতে থাকে তারা। তৃণমূলকর্মীর মাথায় ও পেটের কাছে গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জিয়ারুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে ভোট শুরুর আগেই বঙ্গে প্রাণ গেল ১৩ জনের।
কিন্তু কারা, কেন খুন করল যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লাকে? স্থানীয় সূত্রে, এখানেই উঠে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট নিয়ে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের দ্বন্দ্বের কথা।এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাসন্তীর কাঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেএলাকার যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্করের অনুগামীরা ১৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা এই আমানুল্লা লস্করেরই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজা গাজির অনুগামীরা পেয়েছেন ১২টি আসন।
সূত্রের খবর, এ নিয়ে দু'পক্ষের চাপা উত্তেজনা ছিলই। এই পরিস্থিতিতে শনিবারের ঘটনার পর, নিহতের মেয়ে ও বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া থেকে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী মানোয়ারা পিয়াদার বিস্ফোরক অভিযোগ, দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই তাঁর বাবাকে খুন হতে হল।তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিচ্ছিল। বাবাকে মেরে দেবে বলেছিল। মাদারের লোকজন চাপ দেয়। আমরা আমানুল্লার । পুলিশ দায়ী। অনেকবার জানিয়েছি। কিছু করেনি।’’
রবিবার, ট্রেনে কলকাতা ফেরার পথে বাসন্তীতে নিহত যুব তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। জানতে চান কী সাহায্য চাই? এদিকে, শনিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বারুইপুর পুলিশে জেলার স্পেশাল অপরেশন গ্রুপের অফিরসারা এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Pet Care in Monsoon: বৃষ্টির দিনে ভিজতে দেবেন না আদরের পোষ্যকে, কীভাবে খেয়াল রাখবেন ওদের?