সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  আইএসএফ কর্মীকে (ISF Woker) মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। গোটা ঘটনায় শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে আইএসএফ (ISF)।


ঠিক কী হয়েছিল ?


জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের করেয়া কদম্বগাছি স্টেশন রোড এলাকায়, ওই আইএসএফ কর্মী যখন চায়ের দোকানে বসেছিলেন। তখনই মাহবুব হাসান এবং তাঁর অনুগামীরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ।তৃণমূলের হামলার ঘটনার পর প্রচুর আইএসএফ কর্মী এলাকায় জড়ো হন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দত্তপুকুর থানার পুলিশ ও র‍্যাফ ঘটনাস্থলে আসে। আইএসএফের অভিযোগ, চায়ের দোকানে বসে থাকা তাঁদের কর্মীকে মারধর করে ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। 


আগেও শাসকদল ও আইএসএফ-র একাধিক সংঘর্ষ


অপরদিকে, জুলাইয়ের শুরুতেও আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকায়।পতাকা লাগানোকে ঘিরে সংঘর্ষ বেধেছিল।এবং গোটা ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়। এর আগে এক ছবি দেখা গিয়েছিল ভাঙড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার পথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী-সহ ২ জন। সেখানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছিল আইএসএফের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ৬ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।


ভোটের আগে ভাঙড়েও তুলকালাম


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল-আইএসএফ। দুই দলের সংঘর্ষে সেবার ভাঙড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যার আঁচ গিয়ে পড়ে কলকাতাতেও।ভাঙড়কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) । ঘটনা এখানেই থেমে নেই। এরপর রামনবমীর (Rama Navami) মিছিল ঘিরে হাওড়ার পর 'অশান্ত' হয়েছিল হুগলির রিষড়া। আর সেই রিষড়া ইস্যুকে সামনে রেখেই সেবার শাসক বিরোধীদের সঙ্গে সঙ্গে সুর মিলিয়েই নৌশাদ বলেছিলেন, 'এই জন্য দায়ী পুলিশ মন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও একটি বড় ঘটনা মাথা তুলেছিল। সেটাও ভাঙড়কাণ্ড। তবে প্রেক্ষাপট আলাদা। সেবার বিষয় ছিল মনোনয়ন পত্র।


আরও পড়ুন, 'দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখেন, কাছেরটা ঝাপসা', মালদাকাণ্ডে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর


মমতা ও আইএসএফ বিধায়ক


কারণ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের (Nomination) শেষ দিনেও রক্তাক্ত হয়েছিল বাংলা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভাঙড়ে (Bhngar , South 24 Parganas)। ভাঙড়ের এই অশান্তি নিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরতে নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। অশান্তি চলতে থাকলে, শেষ দিন অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ নৌশাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি মমতা। যদিও তার ঠিক পরেই কড়া বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোটা ঘটনায় আইএসএফকেই (ISF) দায়ি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।