মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যহত (Panchayat Poll Violence)। ভোটের মনোনয়ন পর্ব, ভোটের দিন, ভোটের ফলপ্রকাশ, এবং বোর্ডগঠনের আবহে কার্যত রক্তাক্ত বাংলা। আবারও খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে (Murshidabad)। ফের বলি আরও এক প্রাণ। 'খুন' করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থীর ছেলেকে।
বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে
তবে এখানেই শেষ নয়, বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে (TMC)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ভোটে হারের প্রতিশোধ নিতেই হামলার অভিযোগ পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
ভোট ঘিরে একের পর এক খুনের ঘটনা
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে রাজ্য জুড়ে। এর মধ্যে অপরাধের শীর্ষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। খুনের ঘটনা থেকে শুরু করে, বোমাবাজি, বারুদ উদ্ধার, যেকোনও ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে এই জেলাতেই। আর এবার আরও একবার হিংসার সাক্ষী হল রাজ্যের এই জেলা।
একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়েছে
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়েছে। রাজনৈতিক ইস্যুতেই বলি হয়েছে একের পর এক প্রাণ। এদিকে যখন পঞ্চায়েত ভোটের ফল বাইরে এসেছে, তখন আবার বুকধুকপুক করেছে বিরোধীদের। অন্তত এমন ছবিই উঠে এসেছে গত কয়েক সপ্তাহে। সবুজ ঝড়ের মধ্য়ে যেখানে যেখানে বিরোধীরা জয় এনেছে, সেখানে কার্যত দেখা গিয়েছে এক ব্যতিক্রমী চিত্র। কার্যত কর্ণাটকের ছায়া বলাই যেতে পারে।
বিজেপির জয়ী প্রার্থী-সহ একাধিক জনকে গোপন ডেরায় লুকোনো হয়েছিল
বিজেপির জয়ী প্রার্থী-সহ একাধিক জনকে অসমের গোপন ডেরায় লুকোনো হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, তাঁদের ফিরিয়ে আনে পুলিশ। এদিকে রাজ্যে ক্রম বর্ধমান হিংসা রুখতে হাইকোর্টও ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরপর নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অতিরিক্ত সময় থেকে যাওয়ার জন্য। মূলত হিংসা, খুনের ঘটনা রুখতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন, 'নির্বাচন এলেই কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের DA বাড়ায়', মন্তব্য মমতার
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল মুর্শিদাবাদের ১৩ বিরোধী জয়ী প্রার্থী। ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন, এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না তৃণমূল। বোর্ড গঠনে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন নওদার ১৩ বিরোধী জয়ী প্রার্থী।