বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor)। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজ্যপালের। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা, সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, একুশের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং রাজ্যের মধ্যে একাধিকবার 'সংঘাত' প্রকাশ্যে এসেছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষে হয়ে কথা বলেন বলে রাজ্যপালকে তোপও দাগেন বরাবর শাসকদলের সদস্যরা। তবে রাজ্যে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়। রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে বক্তৃতা করেন মমতা। রাজ্যপাল যে বাংলা শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্য়বাদ জানান।
মমতা বলেন, 'বাংলা বলতে উৎসাহী রাজ্যপাল। আমাদের কাছে এটা গর্বের বিষয়। প্রায়ই তিনি আমাদের কাছে বাংলা বলেন।' সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্ক নতুন খাতে বইতে শুরু করে। এনিয়ে বারবারই সরব হয়েছে বিজেপি। আর এমনই এক সময় প্রকাশ্যে আসে নন্দিনী ইস্যু।
রাজ্যপালের হাতেখড়ির দিন, শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে বলেন, রাজ্য়পালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, যিনি রাজ্য় সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন, তিনি কৌশলে রাজ্য়পালের দফতরকে কাজে লাগিয়ে, মুখ্য়মন্ত্রীর গোপন উদ্দেশ্য় বাস্তবায়িত করতে, তৎপর হয়েছেন।' এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে অসন্তোষের আবহ তৈরি হয় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। প্রশসানিক সূত্রে খবর আসে, রাজ্যপালের ইচ্ছায়, তাঁকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
যদিও ইতিমধ্যেই নন্দিনী ইস্যুও অতীত। এই বিষয়েই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এদিন বলেন, আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন রাজ্যপাল, ভাল লক্ষণ, এদিন এমনটাই দাবি শুভেন্দুর। তিনি এও বলেন, আশাকরি ধনকড়দের দেখানো পথেই চলবেন। যদিও দিল্লিতে গিয়ে ধনখড়ের সঙ্গে সিভি আনন্দ বোসের সাক্ষাৎ নিয়েও কথা ওঠে।
আরও পড়ুন, সোনারপুরে পাচারের পর্দা ফাঁস, ইনোভা গাড়ি থেকে উদ্ধার ৩টি গরু
ফেব্রুয়ারি মাসে, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি, লোকায়ুক্ত নিয়োগ-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানান তিনি। প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে, রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তিনি। যেখানে মূলত নিয়োগ দুর্নীতির দিকে নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।