রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: গাড়িতে করে গরু পাচার! গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বৃহস্পতিবার রাতে, সোনারপুরে একটি ইনোভা গাড়ি থেকে ৩টি গরু উদ্ধার করল পুলিশ। কিন্তু পুলিশ দেখেই গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন গাড়ি চালক। তখনই একটি লাইটপোস্টে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তাতেই গুরুতর জখম হন গাড়ি চালক। দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয় একটি গরুরও।
গাড়িতে করে গরু পাচার: বৃহস্পতিবারই সল্টলেকের একটি ফ্ল্য়াটে পশুপালনের আড়ালে মাদকের কারবারের ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে। আর ওইদিন রাতেই সোনারপুরে দামি গাড়িতে করে গরু পাচারের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার গভীর রা, ঘড়ির কাঁটায় প্রায় আড়াইটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার কাছে খবর যায়, ওই এলাকায় একটি দামি গাড়িতে করে গরু পাচার হচ্ছে। খবর পেয়ে অভিযানে বের হয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ধাওয়া করে একটি ইনোভা গাড়ির খোঁজ মেলে। কিন্তু গাড়টি পালানোর জন্য় স্পিড বাড়িয়ে দেয়। পুলিশের দাবি, তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বারেন্দ্রপাড়া এলাকায় একটি ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গাড়ির দরজা খুলতেই দেখা যায়, তার ভিতর রয়েছে তিনটে গরু সেগুলির মধ্য়ে দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয় একটি গরু। পরে তার মৃত্য়ু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু গাড়িতে একাধিক ব্য়ক্তি ছিল। তারা দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। গরুগুলো চুরি করে পাচারের উদ্দেশ্য়েই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। গাড়ির পলাতক আরোহীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে গতকাল সল্টলেকের সুকান্তনগরে মাদক কারবারের পর্দাফাঁস করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। আর তাতে যে চাঞ্চল্য়কর তথ্য সামনে এসেছে, তা হল পশুপালনের আড়ালে মাদকের কারবার। তাও আবার কোনও বাড়ি বা খামারে নয়, একেবারে এসি লাগানো ফ্ল্যাটের ভিতরে। বুধবার সন্ধেয় সল্টলেক সেক্টর ফোরের নওভাঙা এলাকার এই ভাড়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
এসটিএফ সূত্রে দাবি, তল্লাশি অভিযানে সাড়ে ৩ কেজি ব্রাউন সুগার, দেড় কেজি রাসায়নিক ও নগদ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে দাবি, মাদক, রাসায়নিক ও নগদ মিলিয়ে আনুমানিক ৫ কোটি টাকার জিনিস উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় মবিন খান ও মেহতাব বেগম নামে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসটিএফ সূত্রে খবর, এই বহুতলের পাঁচতলায় এক বছর আগে দুটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন মবিন ও মেহতাব। তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাটে দম্পতি থাকতেন। অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় হল, আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকত শুধু ছাগল।এসি লাগানো সেই ফ্ল্যাট। খাটও রয়েছে সেখানে! এসটিএফ সূত্রে দাবি, ছাগল প্রতিপালনের এই ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলেছে বিপুল মাদক। এসটিএফ সূত্রে দাবি, সল্টলেকের এই ফ্ল্যাট থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করা হত।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: রাজ্যে মিছিল বা সভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে গাইডলাইন তৈরি করল হাইকোর্ট