রুমা পাল, কলকাতা: এবার দমকলে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে নিয়োগের জন্য গাইড লাইন তৈরি করল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ, সেই গাইড লাইন মেনে পিএসসিকে নিয়োগ শুরু করতে হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে পোর্টাল খুলে ৭দিনের মধ্যে অভিযোগ শোনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ শোনার পরে পিএসসিকে ১৫দিনের মধ্যে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-র জুনে ফায়ার অপারেটর পদে দেড় হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ফায়ার অপারেটর পদে কোটায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়। অভিযোগ ছিল, সার্টিফিকেট নেই এমন ব্যক্তিও খেলার কোটায় চাকরি পেয়েছেন। সংরক্ষিত কোটাতেও দুর্নীতি ছিল বলে অভিযোগ।
SSC নিয়েও সমস্যা:
চাকরির দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলন করছে এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে হাইকোর্টের আদেশে এসএসসির তরফে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের নাম রয়েছে SSC-র প্রকাশ করা অযোগ্যদের তালিকায়। আর এনিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যাঁরা চাকরি পাননি তাঁরাই অযোগ্য? এমন ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা সুমনা ভান্ডারী। সুমনা ২০১৬-র SLST-র নবম-দশমের ইংরেজির চাকরিপ্রার্থী। তাঁর নাম রয়েছে, ওয়েটিং লিস্টের ৪ নম্বরে। নিয়োগের পরীক্ষায় ৮৪ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েও, সুমনা এখনও চাকরি পাননি। হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার, নম্বর বদল হয়েছে এরকম, ৯৫২ জনের OMR শিট প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, এঁদের সকলের ক্ষেত্রেই গাজিয়াবাদে অভিযান চালিয়ে সিবিআইয়ের উদ্ধার করা হার্ডডিস্কের সঙ্গে, কমিশনের সার্ভারে থাকা নম্বরের ফারাক রয়েছে। শুক্রবার, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই ৯৫২ জনের স্কুলের নাম, বাবার নাম, রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসএসসি সূত্রে খবর, এই ৯৫২ জনের প্রত্যেকেরই নম্বর বদল হয়েছে। কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে ৫৩ পেয়েছেন। কেউ কয়েকটা উত্তর দিয়েও, চাকরির নিয়োগপত্রের সুপারিশ পেয়েছেন। যদিও, আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুলছেন, আদালতের নির্দেশে কারও প্রাপ্য ১ নম্বর বাড়লে, তাঁদের নাম অযোগ্যদের তালিকায় আসবে কেন?
চাকরি বাতিল:
সম্প্রতি আরও কয়েকজনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া ৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। ২৬৯ জনের বক্তব্য শুনতে হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে আবেদন করেন অনেক শিক্ষক। আজ ৫৪ জন হলফনামা জমা দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। সবার বক্তব্য খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ। এক জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল হাইকোর্ট।