সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : বিজেপি (BJP) নেতার অভিযোগের ভিত্তিতেই আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে। এই সন্দেহের বশে বিজেপি নেতাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল (TMC) কর্মী।                                                                                                                       


দিকে দিকে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তার মধ্যেই এবার, বিজেপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে- এই সন্দেহের বশে বিজেপি নেতাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভাইরাল হয়েছে বিজেপি নেতা ও তৃণমূল কর্মীর বচসার ভিডিও। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দেগঙ্গা থানায় (Deganga Police Station) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 


যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কর্মীর পাল্টা দাবি, কাটমানি চেয়েছেন বিজেপি নেতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।  বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেছেন, 'নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদলের দখলে। সেখানে তৃণমূল কর্মীর কাছ থেকে বিজেপি নেতা টাকা চাইবে এটা হাস্যকর ব্যাপার। কারণ নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নেতারা স্বজন পোষণ করে কেন্দ্র প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছে। আর তার প্রতিবাদ করতে গেলে ভারতীয় জনতা পার্টির উপরে হুমকি আসছে। আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই।'


পাল্টা দেগঙ্গা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান বলেছেন, 'নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ বছর আগে প্রধান ছিলেন বিজেপির তরুণ কান্তি ঘোষ। তিনি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী নিতাই দাসের উপরে অত্যাচার করে এসেছেন আগে থেকে। তাই সমীর দাসকে দিয়ে নিতাই দাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।নিতাই দাস আবাস যোজনা ঘর পাওয়ার যোগ্য। দেগঙ্গা থেকে বিজেপির নাম মুছে যাবে।'


বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দিকে দিকে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্ধ তৃণমূল। তার প্রভাব কি পড়বে ভোট বাক্সে? উত্তর দেবে সময়। 


আরও পড়ুন- বড়দিনে উৎসবমুখর বাংলা, এখনও হকের চাকরির দাবিতে ধর্না চাকরিপ্রার্থীদের