আবীর ইসলাম, মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলপুর ও দুর্গাপুর: পুরভোটের আগে বীরভূমের বোলপুর পুরসভার পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভাব-অভিযোগের কথা শুনছেন পুর প্রশাসক। রাস্তা থেকে নর্দমা, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন পুর নাগরিকরা।


যদিও পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই কর্মসূচিকে পুরভোটের আগে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


‘নিন্দা করাই বিজেপির কাজ, আমরা উন্নয়নের পক্ষে,’ পাল্টা জবাব তৃণমূলের।


পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরেও শুরু হয়েছে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নীলডাঙা প্রাথমিক স্কুলে খোলা হয়েছে ক্যাম্প। রাস্তা, আলো, পানীয় জল, সমস্ত পুর পরিষেবার চটজলদি সমাধান মিলবে আশ্বাস পুর প্রশাসনের।


‘এতদিন কাজ করেনি। পুরভোটে মানুষ যাতে বিজেপির দিকে চলে না যায়, তাই আই ওয়াশের চেষ্টা,’ দাবি গেরুয়া শিবিরের।


‘মূল সমস্যা বেকারত্ব, তা থেকে মুখ ফেরাতে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি,’ কটাক্ষ সিপিএমের। 


কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিল রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে সেই কর্মসূচি ফের চালু করা হয়েছে পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে। পুরসভা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে কলকাতাতেও শুরু হয়েছে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি। পুরসভার কর্মীরা ক্যাম্প সাজিয়ে বসছেন পাড়ায় পাড়ায়। কর্মসূচির সাফল্যের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে ক্যাম্পে। তবে রাজ্যের অন্যান্য ক্যাম্পগুলিতে যখন ভিড়, তখন কলকাতার ছবিটা অনেকটাই আলাদা। ভিড় এখানে নেই বললেই চলে। 


কলকাতা পুরসভার ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মালা রায়ের দাবি, যে কোনও প্রয়োজনে এখানে কাউন্সিলরের কাছেই ছুটে যান বাসিন্দারা। ফলে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার চাহিদা কম। 


সেভাবে ভিড় না হলেও কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, মানুষের স্বার্থে ক্যাম্প চালিয়ে যাওয়া হবে। কবে কোথায় ক্যাম্প হবে ইতিমধ্যেই তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ।