কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশের পর জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা আসার পথে হঠাৎ উধাও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে পড়লেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। তিনি কলকাতাতেই এসেছেন বলে সূত্রের খবর। ভোর ৪.৫২ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনে ঢোকে পদাতিক এক্সপ্রেস। ৪.৫৬ মিনিটে মেয়েকে নিয়ে মন্ত্রীকে দেখা যায় বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। ভোর ৫টার পরে সাদা রঙের গাড়িতে করে মন্ত্রীকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, দিনভর এসএসসি দুর্নীতি তরজার উত্তপ্ত শহর। তারই মাঝে বেপাত্তা পরেশ অধিকারী। কলকাতায় আসার সম্ভাবনা থাকলেও এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এরই মাঝে শহরে দফায় দফায় বিক্ষোভে এসএফআইয়ের। কোথায় নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী? সন্ধান চাই পরেশ অধিকারীর। পোস্টার দেখিয়ে লেকটাউনে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই।
সিবিআই দফতরে গেলেন পার্থ: ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কার পরেই সিবিআই দফতরে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হাইকোর্টের ডেডলাইনের ২০ মিনিট আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। ‘কেন উপদেষ্টা কমিটি গঠন? কার নির্দেশে গঠন করা হয়েছিল কমিটি? শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে টাকা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ জানতেন?’ সূত্রের খবর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাইবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা । এর মধ্যেই নিজাম প্যালেসে হাজির হন উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন ৫ সদস্য।
এসএসসি-র নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারে। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চ সীমা অতিক্রম করেছে বলে মনে করে না ডিভিশন বেঞ্চ। প্রভাবিত সব পক্ষের বক্তব্য সব সময় শুনতে হবে এমন কোনও বিধিবদ্ধ নিয়ম বা আইন নেই।এখনও পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার কোনওটাই এসএসসি-র পক্ষে যায়নি। আর্থিক দুর্নীতি খুঁজে বার করার ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও ভুল নেই।
জানায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের ভূমিকা আলাদা করে খুঁজে দেখার সময় এটা নয়। বিতর্কিত ভাবে নিযুক্ত হওয়া প্রার্থীদের বেতন বন্ধ বা ফেরত দিতে বলে ভুল করেনি সিঙ্গল বেঞ্চ। এসএসসি-র নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার রায়ে পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চের। সিঙ্গল বেঞ্চেই মামলা ফেরত পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ।
এসএসসি-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী ও নবম-দশমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আজ রায়দান।