পার্কস্ট্রিট: জাদুঘর গুলিকাণ্ডে নতুন তথ্য। পুলিশের দাবি, জেরায় অক্ষয় জানিয়েছেন, ডিউটির সময় ঘুমিয়ে পড়ার ছবি তুলে রেখেছিলেন এএসআই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গি। মোবাইলের ক্যামেরায় তোলা ছবি সহকর্মীদের দেখিয়েছিলেন। ওই ছবি দেখিয়ে অক্ষয়কেও ভয় দেখাতেন রঞ্জিত। সেই রাগেই রঞ্জিতকে নিশানা করেছিলেন, জেরায় দাবি ধৃত CISF জওয়ানের।


উল্লেখ্য, জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে অনুতপ্ত অভিযুক্ত CISF জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্র। পুলিশের দাবি, ধৃত জওয়ান জেরায় জানিয়েছেন কাজটা খারাপ হয়েছে। করা উচিত হয়নি। মাথা গরম করেই যে ভয়ানক ঘটনা ঘটিয়েছেন তাও কবুল করেছেন অক্ষয়। যদিও CISF জওয়ানের দাবি, কোম্পানি হাবিলদার মাস্টার পদে থাকায় তাঁর দায়িত্ব ছিল রোলকলের সময় বাকিদের একত্রিত করা। শনিবার সেই কাজই করছিলেন তিনি।কিন্তু ৫-৬ জন ছাড়া রোলকলের সময় কেউ হাজির না হওয়ায়, তাঁকে সবার সামনে বকেন ইন্সপেক্টর। তাতেই আত্মসম্মানে লাগে অক্ষয়ের। সেন্ট্রির কাছ থেকে AK 47 রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্টকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। ধৃত CISF জওয়ানের দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


পার্কস্ট্রিটের গুলিকাণ্ডে কার্যত তোলপাড় শহর। গত শনিবার, সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে CISF-এর এএসআই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গির। কী থেকে যে কী হয়ে গেল? মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের। অন্যদিকে, জখম অ্যাসিস্টান্ট CISF কমাডান্ট সুবীর ঘোষ বিপন্মুক্ত হলেও উৎকন্ঠায় পরিজনরা। শনিবার এলোপাথাড়ি গুলি চলার পর আজ রবিবার হলেও ভারতীয় জাদুঘরে দর্শকের সংখ্যা যথেষ্ট কম। দর্শকদের ভয় কাটাতে, তাঁদের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডিউটি করতেও নিষেধ করা হয়েছে, জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তরফে। 


অন্যদিকে এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেলেন ভারতীয় জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে জখম CISF-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ। তাঁর ডান হাতের কনুইয়ের নীচে গুলি লাগলেও তা হাত ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। ফলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত মাংসপেশীর চিকিত্সা করে CISF আধিকারিককে আজই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: Alipurduar News: ছুটির দিনেও ক্লাস! লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ বীরপারার নেতাজি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে