সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: সংসদে (Parliament Security Breach) তাণ্ডবকাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা'র (Lalit Jha) বাংলা-যোগ আরও জোরালো। বাগুইআটিতেও (Baguiati) আস্তানা ছিল ললিতের। আর বড়বাজারে বাড়ি ভাড়া নিয়ে গৃহশিক্ষকতা করতেন। এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, বাগুইআটিতে সপরিবার ৩ বছর একটি বাড়িতে ভাড়া ছিলেন ললিত ঝা। মা-বাবা ও দুই ভাইকে নিয়ে বাগুইআটিতে থাকতেন ললিত ঝা। সংসদে তাণ্ডবের ৩ দিন আগে ১০ ডিসেম্বর বাগুইআটির বাড়ি ছেড়ে চলে যান ললিত। স্থানীয়দের দাবি, ললিতের মা- বাবা বলেন বিহারের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তাঁরা। তারপরে বাগুইআটির বাড়িতে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান ললিত ঝাও, দাবি প্রতিবেশীদের। বাড়ি মালিকের দাবি, দিল্লি যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ললিত। বাগুইআটির একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে কয়েকদিন শিক্ষকতাও করেছেন ললিত, দাবি স্থানীয়দের। বাগুইআটি এলাকায় সব্জিও বিক্রি করতে তিনি।


সূত্রের খবর, বাগুইআটিতে একটি বাড়িতে ৩ বছর ভাড়া নিয়েছিলেন ললিত। সূত্রের খবর, ললিত ঝা-রা তিন ভাই। ছোট ভাই ও বড় ভাই দোকানে কাজ করেন। 


সূত্রের খবর, বাগুইআটিতে একটি বাড়িতে ৩ বছর ভাড়া নিয়েছিলেন ললিত। সূত্রের খবর, ললিত ঝা-রা তিন ভাই। ছোট ভাই ও বড় ভাই দোকানে কাজ করেন। 


স্থানীয়দের দাবি, ওই পরিবারটি ভাল ছিল। যে বাড়িতে ভাড়া নিয়েছিলেন ললিত, সেই বাড়ির মালিক বলেন, 'এইখানেই থাকত। কোনওদিন কোথাও যেতে দেখিনি। গরিব পরিবার। টিউশনি করত। ওর বাবা পুজো করে বড়বাজারে। দুই ভাই বড়বাজারেই দোকানে কাজ করে।'


আরও আটক:
সংসদে স্মোক অ্যাটাকের ঘটনায় এবার আটক করা হয়েছে মাস্টারমাইন্ড ললিতের ২ জন সহযোগীকে। মহেশ ও কৈলাস নামে ২ জনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তাঁরা ২ জনেই ললিতকে সাহায্য করেছিল বলে মনে করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ললিতের ২ সহযোগী কৈলাশ ও মহেশ তাঁকে রাজস্থানের হোটেলে থাকতে সাহায্য করেছিল। সংবাদমাধ্যম দেখে ঘটনার গতিপ্রকৃতি জানার চেষ্টা করে ললিত। পুলিশ তাঁকে তন্নতন্ন করে খুঁজছে জানতে পেরেই বাসে করে রওনা দেয় দিল্লিতে। পুলিশ কোথায় কোথায় যাচ্ছে, তাও জানত ললিত।  বন্ধুদের কাছে কী করা উচিত, তার পরামর্শও চায়। এমনকি, ললিতের সহযোগী মহেশও ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সংসদে হানায় যোগ দিতে চেয়েছিল মহেশও। কিন্তু তাঁর পরিবার রাজি না হওয়ায় শেষমুহূর্তে সেই প্ল্যান বাতিল করে ললিতের সহযোগী মহেশ। 


আরও পড়ুন: 'রেশন দুর্নীতি মামলায় বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন', রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি ইডির