প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: রেশন বন্টন দুর্নীতিকাণ্ডে এবার রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে চিঠি পাঠাল ইডি। সূত্রের খবর, ২ দিন আগেই ইডির তরফে মনোজ মালব্যকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। রেশন বন্টন দুর্নীতিতে বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। এর আগে নদিয়ার একাধিক থানা, কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ একাধিক থানায় রেশন দুর্নীতি নিয়ে জমা পড়েছিল নানা অভিযোগ। কিন্তু গভীরে গিয়ে সেই অভিযোগগুলির তদন্ত করা হয়নি বলে দাবি করেছে ইডি। এবার বিস্তারিত তদন্ত করার আবেদন জানিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার রেশন দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে! তবে গোটা রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার! সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই প্রেক্ষাপটে এবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে চিঠি দিয়ে রেশন দুর্নীতি মামলার বিস্তারিত তদন্ত করার আবেদন জানাল ইডি। সূত্রের দাবি, ডিজিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনারা ভালভাবে তদন্ত করুন। এই রেশন দুর্নীতি গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। যদি তথ্যপ্রমাণ বা সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা সাহায্য করার প্রস্তুত। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ আজকের নয়। ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে, তিনটি FIR দায়ের করে সবার প্রথমে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেই মামলাগুলিতে ইতিমধ্যে চার্জশিটও জমা পড়ে গেছে। কিন্তু ইডি সূত্রে দাবি, রাজ্য পুলিশ মামলার গভীরে না ঢুকে ওপর ওপর তদন্ত করেছে। এই দুর্নীতির মাথা কে? অভিযুক্তদের মাথায় কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কিনা, সেই খোঁজ করা হয়নি। এরপর ২০২২-এর এপ্রিলে ECIR দায়ের করে তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অক্টোবর মাসে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার ১২ জায়গায় ৩ দিনে ৫৫ ঘণ্টা ধরে টানা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে। এরপর খোদ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করে ইডি।
এই প্রেক্ষাপটেই ইডির প্রশ্ন, তারা পারলে পুলিশ কেন দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে পারবে না? তাহলে কি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতিতে ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, চাল ও গমকলের মালিকদের একটা নেক্সাস রয়েছে। তার ওপরে রয়েছে মাথারা। এবার রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ইডির চিঠি পাঠানোর পর, পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কিনা, সেদিকেই