সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : কীভাবে সংসদে স্মোককাণ্ডে (Parliament Security Breach) জড়িয়ে গেলেন ললিত, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। ললিতের দাদার আশঙ্কা, কেউ ভাইয়ের মগজধোলাই করেছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১০ ডিসেম্বর বাগুইআটির বাড়ি থেকে বেরোন ললিত (Lalit Jha)। তারপর আর যোগাযোগ হয়নি।


মেধাবী পড়ুয়া, চাকরি না পাওয়ায় বাচ্চাদের টিউশন পড়াতেন। কখনও আবার রোজগারের আশায় সবজি বিক্রি করতেন। কাজ করেছেন, এগরোল-চাউমিনের দোকানেও।এহেন, ঘরকুনো স্বভাবের ললিত কীভাবে সংসদে স্মোককাণ্ডে জড়িয়ে গেলেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১০ ডিসেম্বর বাগুইআটির বাড়ি থেকে বেরোন ললিত। তারপর আর যোগাযোগ হয়নি। স্মোককাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-র দাদা শম্ভু ঝা বলেন, “আমাদের চোখে ও খুব ভাল ছেলে। যেখানে থাকত তার আশেপাশের লোকও শুনে বলছে, ছেলেটা এরকম ছিল না। আচমকা কীভাবে গেল ? কেন গেল ? কার কথায় গেল ? কে ওর মগজধোলাই করেছে, এটা তো ললিত নিজে বলবে।’’


ললিতরা বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। তাঁর বড়ভাই শম্ভু ঝা বড়বাজারে কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। ছোটভাই বড়বাজারে ইলেকট্রিকের কাজ করেন। আর ললিতের বাবা দেবানন্দ ঝা মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটে এক মন্দিরের পূজারি ছিলেন। সংসদে স্মোককাণ্ডে 'মাস্টারমাইন্ড'ললিত ঝার দাদা শম্ভু ঝা বলেছেন, ওর (ললিতের) বায়োডাটা নিল। কী করত? কোথায় থাকত? কী কাজ করত? এইসব জিজ্ঞেস করল। সায়েন্সে গ্র্য়াজুয়েশন করেছিল। সংসদে ঘটে যাওয়া ঘটনাক্রম সম্পর্কে কখনও ভাইয়ের সঙ্গে কোনও আলোচনা উঠে আসেনি বলেই দাবি তাঁর।


ললিতের দাদার দাবি, কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল না ভাই। এর আগে সংসদকাণ্ডে ধৃত নীলম ঝা-ও দাবি করেছিলেন, তাঁরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং তাঁর মুখে উঠে এসেছিল বেকারত্বের মতো সমস্য়ার কথা। টিভিতেই দেখেছেন, ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী থেকে কী হয়ে গেল ? কেনই বা এতবড় পদক্ষেপ নিল সে? পুলিশ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু উত্তর নেই ললিতের দাদা শম্ভু ঝার কাছে।     


আরও পড়ুন- পাশে পাননি বাড়ির লোকদেরও, মনের জোরে মৃত স্বামীর সংরক্ষিত শুক্রাণু ব্যবহার করে হলেন মা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে