সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee )। সূত্রের খবর, সেল ব্লকের ২ নম্বর ঘরে রাখা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। জেলের পরিভাষায় ওই সেলকে বলা হয় পয়লা বাইশ।
হাইপ্রোফাইল বন্দিদের প্রতিবেশী পার্থ
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাশের সেলে রয়েছেন রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু ( Rose Valley chairman Gautam Kundu) , সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন (Saradha boss Sudipta S en ) । যাদের হাইপ্রোফাইল বন্দি বলা হয়ে থাকে। আছেন ছত্রধর মাহাতো, আইএস জঙ্গি মুসা, আফতাব আনসারি ও তার ঘনিষ্ঠ জামালউদ্দিন আনসারি ! যাদের অপরাধ-ইতিহাস একসময় নড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাকে। এরকম শ দেড়েক হাইপ্রোফাইল বন্দি রয়েছেন পার্থর সঙ্গে। তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব ব্যবহার করছেন সাধারণ শৌচাগার ! তবে তাতে রয়েছে কমোডের ব্যবস্থা।
কুণালের রাগের বিস্ফোরণ
আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেলে পাঠাতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছন একদা তাঁর সতীর্থ কুণাল ঘোষ। সারদার বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। সেজন্য জেলে থাকতে হয়েছে তাঁকেও। তৃণমূল মুখপাত্র পুরনো রাগ উগরে দিয়ে বলেন, ' আমি যখন জেলে ছিলাম, আমায় পাগল বলেছিল। এখন জেলে ঢুকে দেখুক, কেমন লাগে। ওকে যেন জেলে কোনও স্পেশাল সুবিধা না দেওয়া হয়। আমার জেলে পরিচিত আছে, একটুও স্পেশাল সুবিধা পেলে আমি দেখব'
১৮ তারিখ অবধি জেলেই
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। খারিজ হয়ে গেল তাঁর জামিনের আবেদন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিনের আবেদন জানাননি। তাঁকেও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। ১৮ তারিখ পার্থ-অর্পিতা দু’জনকেই ফের আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, আলিপুর জেলের ২ নম্বর ঘরে রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদারকি করছেন জেলের সুপার। ভালো আচরণ করার জন্য বন্দিদের যে ঘরে রাখা হয়, তারই একটি ঘর অর্পিতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে।