নয়া দিল্লি: সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের পর ইডির মামলাতেও জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। ১৮ মাস তিহাড়ে জেলবন্দি থাকার পর, শুক্রবার গরু পাচার মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। আর এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আরও ১ সপ্তাহ সময় চাইল ইডি। 


তবে তার জামিনের জন্য আবেদনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন, 'শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় ২ বছর ৩ মাস ধরে জেলে রয়েছেন পার্থ। মামলায় সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে ৭ বছর। এক তৃতীয়াংশ সাজা ভোগ করা হয়ে গেছে'। জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করা হয় এদিম। 


এরপর ইডির বক্তব্য জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত। তবে জবাব দিতে আরও ১ সপ্তাহ সময় চাইল ইডি। আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ফের উঠবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন-মামলা। 


এদিকে এর মধ্যে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর নথি হাতে এসেছে বলে দাবি করল সিবিআই। জেলে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরার পাশাপাশি, পরপর ৫ দিন সল্টলেকের বিকাশ ভবনের গুদামে তল্লাশ চালায় CBI। এই অবস্থায়, আদালতে দেওয়া রিপোর্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছে, বাজেয়াপ্ত নথির মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা রয়েছে। দেখা গেছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ২০১৪-র টেটের অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নাম নিজেই সুপারিশ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সেই তালিকা পাঠিয়েছিলেন এক আমলার কাছে।


আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি কে হতে পারেন? অবসরের আগে উত্তরসূরীর নাম প্রস্তাব ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অযোগ্যরা যে চাকরির পরীক্ষায় পাস করতে পারবেন না, তা ভাল মতোই জানতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর করা সুপারিশ-তালিকায় নাম ছিল ৭৫২ জনের। এর মধ্যে ৩১০ জন চাকরিও পেয়েছেন। বাজেয়াপ্ত নথিতে কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে তারা।                                              



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে