সন্দীপ সরকার, কলকাতা : লক্ষ্মীবারের মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন পার্থ। হারিয়েছেন দলের সব পদও। তারপরই শুক্রবার এল তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া। পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালে ঢোকার আগে বললেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার ! তবে ঠিক কোন ক্ষেত্রে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার, তা অবশ্য বিস্তারিত জানাননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। হাসপাতালে ঢোকার আগে মাস্ক খুলে তিনি বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। 


নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পাঁচদিন পর, দল ও সরকারের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে তিনটি দফতর থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পার্থকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল।  মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পর এই তিনটি দফতর আপাতত নিজের হাতে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীদিনে তিনি এই তিনটি দফতর কাকে দেবেন? না কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে এই ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পর শেষ অবধি কি মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজাবেন মুখ্যমন্ত্রী? ঘরে-বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে দীর্ঘদিন ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অবশেষে সরানোর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ! কিন্তু, তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, কান নয়, মাথা ধরতে হবে।


জোকা ইএসআই হাসপাতালে পরীক্ষা 
আদালতের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মেডিক্যাল টেস্ট হওয়ার কথা। সেইমতো আজও তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। এর জন্য দু’জনকে নিয়ে ইডির আধিকারিকরা পৌঁছন  জোকা ইএসআই হাসপাতালে। তারপরই এক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। 


অর্পিতার কান্না 
জোকা ইএসআই হাসপাতালের সামনে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য গাড়ি থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামতেই চাইছিলেন না। তারপর সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। গাড়ির গেটের সামনে বসে পড়েন অর্পিতা। 
ঠিক হাসপাতালে গাড়ি থেকে নামানোর সময় তৈরি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নামার সময় কেঁদে ফেলেন। নামতে চান না। এরপর তাঁকে টেনে নামিয়ে হুইলচেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভিতরে।