কলকাতা: ফের শিল্প জগতে ইন্দ্রপতন। শনিবার, সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ চলে গেলেন বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষ (Partha Ghosh)। আবৃত্তি জগত আজ অভিভাবকহীন। গত বছর অগাস্টে মৃত্যু হয় পার্থ ঘোষের স্ত্রী ও শিল্পী গৌরী ঘোষের (Gouri Ghosh)। এই দুঃসংবাদে ভেঙে পড়েছে শিল্পী মহল। শোকবার্তা প্রকাশ করছেন সকলে একে একে। শোকপ্রকাশ করলেন বাচিকশিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় (Bratati Bandyopadhyay)।
ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকজ্ঞাপন
পার্থ ঘোষের মৃত্যু সংবাদ যে বাংলার সমস্ত বাচিকশিল্পীদের ভিতর পর্যন্ত নাড়িয়ে দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। শোকে বিহ্বল ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ ঘোষের প্রয়াণের খবর প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সঙ্গে পার্থ ঘোষের একটি ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, 'যুগাবসান। অন্য লোকে ,অন্য কোনোখানে ,পার্থ -দাও.... "যেতে নাহি দিব" আমরা বলি, তবু যেতে দিতে হয়।' (অপরিবর্তিত)
ঠিক কী হয়েছিল পার্থ ঘোষের?
এবিপি আনন্দকে ফোনে শিল্পী পুত্র অয়ন ঘোষ বলেন, 'বাবার নিয়মিত হাঁটাচলা করতেন। এমনকী সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাও করতেন। কিছুদিন ধরে পায়ের একটু সমস্যা হচ্ছিল। সতর্ক থাকতেই হাসপাতালে ভর্তি করি। আর এন টেগোরে ভর্তি করা হয়। তারপর গলায় ছোট একটা পলিপ ধরা পড়ে। সেটা অপারেশন করা হল। তারপর খুব দ্রুত বাবা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। গতকাল দুপুরেও যখন আমি গেলাম দেখা করতে, আমার সঙ্গে রীতিমতো ইয়ার্কি ঠাট্টা করল। টিভি দেখছিল, খবরের কাগজ পড়ল। মানে ডিসচার্জ করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসব ভেবে ফেলেছিলাম। রাতে ভিডিও কলেও কথা বলল ভালই। তারপর হঠাৎ আজ সকালে ৬-৬.১৫ নাগাদ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তারপর সাড়ে ৭টার সময় সব শেষ। বিধির বিধান। কারও কিছু করার নেই। কোথাও গিয়ে যেন মেডিক্যাল সায়েন্সও কোনও বোধ হয় মানে রাখে না।'
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। হাসপাতাল থেকে দমদমের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। এরপর সেখান থেকে আজই নিমতলা শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।