মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ফের সামনে এল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। পশ্চিম বর্ধমানের পান্ডবেশ্বরে রেলের হাই টেনশন লাইনের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক লরি চালকের। রেলের হাই টেনশন তারে শর্ট লেগে মৃত্যু হল এক লরি চালকের। ঘটনাটি ঘটেছে পান্ডবেশ্বর ফুলবাগান মোড়ের রেল গেটের সামনে।
বুধবার গভীর রাতে দেড়টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই লরি চালককে পুলিশ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সময় তার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। মৃত লরি চালকের নাম দীনেশ কুমার, সূত্রের খবর তাঁর বয়স বছর তেত্রিশের মতো। উত্তরপ্রদেশের সামবল জেলার আসমলি থানার গজনী গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যে একটি ঘটনা ঘটেছিল যেখানে হাইটেনশন তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন ২ জন। তাঁরাও ভিনরাজ্যের নাগরিক ছিলেন। বীরভূমের সদাইপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন দুজন। ওই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই ছিলেন। নিহত দুজনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায়। ওই দুজন ধান কাটার মেশিন নিয়ে এসেছিলেন। ওই এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে তাঁরা ধান কাটছিলেন। এদিন সেই কাজেই একটি গাড়িতে ধান কাটার মেশিন নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই রাস্তার উপরেই ছিল ১১০০০ ভোল্টের তার। কোনওভাবে মেশিনের একটি অংশ ওই তারে লেগে যায়। সেই সময় তার সরাতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই দুজন ব্যক্তি। সদাইপুরের এক বাসিন্দা বলেছিলেন, 'এখন মাঠে ধান কাটা চলছে। মেশিন আসছিল। মেন রোডের ওপরে তার রয়েছে। তার নীচু হয়ে গিয়েছে, বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বিদ্যুৎ দফতরের জন্য়ই এমন হয়েছে। প্রথমে একজন ঝটকা খায়। ওকে বাঁচাতে গিয়ে আরেকজনও ঝটকা খায়।'
সম্প্রতি ঝাড়খন্ডে ধানবাদের কাছেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। দিল্লি-হাওড়া রেলরুটে হাই টেনশন তার ছিঁড়ে পড়ে ৬ শ্রমিকের মৃত্যু। কাতরাসের তেতুলমারী স্টেশনের বাইরে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। হাওড়া-নয়াদিল্লি লাইনে ধানবাদ ও গোমো স্টেশনের মাঝে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রেল ঠিকাদারের যে ৬ জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন, তাঁরা পালামৌ, লাতেহার এবং এলাহাবাদের বাসিন্দা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, কেন আগে থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Appetite: খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার