মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ডাল: রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির বাইরে পড়েছিল দেহ।  তখনও প্রাণ বেরিয়ে যায়নি শরীর থেকে। তাই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় (Andal News)। কিন্তু বাঁচানো গেল না অন্ডালের এক ব্যক্তিকে। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে, রাস্তাতেই প্রাণ হারালেন তিনি। পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Paschim Bardhaman News)।


এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র  নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু


পশ্চিম বর্ধমানে অন্ডালের ঘটনা। সেখানকার শ্রীরামপুর ওয়ার্কশপ কৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা মৃত ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির নাম বীরেন্দ্র চৌধুরী, বয়স ৪৮ বছর। রক্তাক্ত অবস্থায় শনিবার রাতে বাড়ি থেকে অনতি দূরে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র  নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে বীরেন্দ্রকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


বীরেন্দ্রর ছেলে রাজীব চৌধুরী জানিয়েছেন, শনিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ বাড়ির বাইরে তাঁর বাবাকে পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন। প্রথমে বোঝা না গেলে, কাছাকাছি গিয়ে বীরেন্দ্রকে চিনতে পারেন সকলে। তাঁর গলায় এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিষয়টি জানাজানি হয়েই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বীরেন্দ্রকে। 


আরও পড়ুন: Howrah Puri Vande Bharat: ট্রেনের ওপর বাজ পড়ে বিপত্তি! হাওড়া ফেরার পথে বিকল বন্দে ভারত


এর পর, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থাতেই বীরেন্দ্রকে নিয়ে পৌঁছন সকলে। কিন্তু সেখান থেকে বীরেন্দ্রকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে আর পৌঁছনো হয়নি। রাস্তাতেই বীরেন্দ্র শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে রাজীব। রাজীবের দাবি, তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে। 


রাজীব জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দা বাম দাসের সঙ্গে তাঁদের পুরনো বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরেই বীরেন্দ্রকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর। ঘটনার পর থেকেি নিখোঁজ বাম দাস। অন্ডাল থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশই গুরুতর জখম অবস্থায় বীরেন্দ্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এগিয়ে এসেছিল। 


মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই রহস্য দানা বেঁধেছে


এ ভাবে বীরেন্দ্রর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই রহস্য দানা বেঁধেছে। কী করে এমন পরিণতি হল তাঁর, পুরনো বিবাদ নাকি অন্য কিছু রয়েছে নেপথ্যে, উঠছে প্রশ্ন।  বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের পরেই ঘটনার আসল সত্যতা সামনে আসবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাম দাসের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ ।