কলকাতা: সালটা ১৯৯১। দিনটা ২১ মে। রাতের বেলা যখন সবাই ঘুমোতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখনই সারা ভারত কেঁপে উঠেছিল একটি খবরে। তামিলনাড়ুতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা গিয়েছেন রাজীব গাঁধী।  তিন দশক পেরিয়ে গিয়েছে। আজ রাজীব গাঁধীর ৩২তম মৃত্যবার্ষিকী।


এই দিনটিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন রাজীব গাঁধীর স্ত্রী ও জাতীয় কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী।  শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন রাজীব গাঁধীর ছেলে ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। বীরভূমিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। উপস্থিত ছিলেন আরও একাধিক কংগ্রেস শীর্ষ নেতা। রাজীব গাঁধীর একাধিক কাজের কথা জানিয়ে ট্য়ুইট করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। ভোটাধিকারের বয়স কমানো। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, ভারতে টেলিকম ও আইটি শিল্পকে শক্তিশালী করার কাজ-এমন একাধিক বিষয়ে রাজীব গাঁধীর অবদানের কথা লিখে ট্যুইট করেছেন তিনি। |



মোদির ট্যুইট:


প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর মৃত্যুদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি এখন G7 সামিটে রয়েছেন।


 




ভারতরত্ন রাজীব গাঁধী ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন তিনি। তিনিই ছিলেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৪ সালে তাঁর মা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত হন। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী হন রাজীব গাঁধী। ১৯৮৯ সালের ২ মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি। 


আত্মঘাতী হামলা:
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায়  LTTE জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্যের আত্মঘাতী হামলায় মারা যান রাজীব গাঁধী। তখন তাঁর বয়স মাত্র ৪৬। যিনি আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিলেন তিনি একজন মহিলা ছিলেন। নির্বাচলী মিছিলের মাঝেই ওই মহিলা এসে রাজীব গাঁধীকে প্রণাম করেন তারপরেই কোমরের বেল্টে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। পরে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়। হামলাকারী ছিলেন শ্রীলঙ্কার জাফনার বাসিন্দা থেনমোঝি রাজারত্নম ওরফে ধনু।


রাজীব গাঁধীর মৃত্যুদিনটিকে National Anti-Terrorism Day হিসেবে পালন করা হয়।


আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম ! একটি কাপের দামে কেনা যাবে গাড়ি